উত্তরপ্রদেশের হাথরস গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ১, ৩ জন বেকসুর খালাস

লখনউ : ২ মার্চ, ২০২৩ — উত্তরপ্রদেশের হাথরস গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তের মধ্যে ৩ জনকে বেকসুর খালাস করা হল। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের এক জেলা আদালতে ১ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
বৃহস্পতিবার চার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত সূত্রে খবর, হাথরস গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে সন্দীপ ঠাকুর দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। বাকি তিনজন, সন্দীপের কাকা বছর ৩৫ এর রবি, এবং তাদের বন্ধু বছর ২৩-এর লব কুশ ও ২৬ বছরের রামুকে বেকসুর মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ২০ বছর বয়সের সন্দীপ ঠাকুরের বিরুদ্ধে চার্জ কম ছিল। এই মামলায় ধর্ষণ বা খুনের ঘটনায় তার নাম ছিল না বলে জানিয়েছেন আদালতের এক আধিকারিক। মূল অভিযুক্ত সন্দীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অপরাধমূলক হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তফসিলি জাতি, উপজাতি আইনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সন্দীপের সাজার শুনানি হবে হাথরস জেলা আদালতে।

২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হয়েছিলেন চার উচ্চবর্ণের যুবক। ২ সপ্তাহ ধরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে লড়াই করার পর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় , তরুণী ধর্ষণে বাধা দিলে, তার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়, তাকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত। যন্ত্রণায় নিজের জিভেই কামড় বসিয়ে দেন নির্যাতিতা। জিভেও গুরুতর ক্ষত তৈরি হয় ওই তরুণীর। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনা ঘটার পর প্রথম ১০ দিনে কোনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তার মৃত্যুর পরে, দেহটি হাসপাতাল থেকে বার করে এনেছিল পুলিশ।তার পরিবারের সম্মতি ছাড়াই পুলিশের সাহায্যে তরুণীর দেহ জোর করে দাহ করা হয়। সেখানে পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ তার দাবি অস্বীকার করে।