জানেন কি, স্বাস্থ্যের জন্য কলা যেমন উপকারী ঠিক তেমনিই চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্যও এর ব্যবহার খুবই উপকারী। শুধুমাত্র কলা বা কলার সঙ্গে অন্য কোনও উপাদানের মিশ্রণ চুলের খুশকি দূর করে। পাশাপাশি চুলের রুক্ষতা ও চুল ঝরা নিয়ন্ত্রণেও কলা অত্যন্ত কার্যকর।
কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, প্রাকৃতিক তেল ও ভিটামিন, যা চুলকে মসৃণ ও ঝলমলে করে তোলে। এবার জেনে নেয়া যাক চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য কলার নানান ব্যবহার।
কলা, পাতিলেবু ও টক দই : চুলের খুশকি দূর করতে অর্ধেক পাকা কলার সঙ্গে তিন চামচ টক দই ও এক চামচ পাতিলেবুর রস মেশিয়ে চটকে নিন। মিশ্রণটি শুধুমাত্র চুলের গোড়া ও মাথার তালুর ত্বকে ভালো করে লাগান।
খেয়াল রাখতে হবে, এই মিশ্রণটি যাতে কোনোভাবেই মাথার বাকি চুলে না লাগে। ২০-২৫ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। পাতিলেবু আর টক দই চুলকে খুশকিমুক্ত করতে সাহায্য করে। এই মসৃণ করতে কলার ব্যবহার আসলে কন্ডিশনারের কাজ করে।
কলা, ডিম ও লেবুর রস : চুলের বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে এই মিশ্রণ খুবই কার্যকর। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা যেতে পারে। দুটি চটকে নেয়া কলা, একটি ডিমের শুধু কুসুমের অংশটুকু ও এক চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণটি তৈরি করে নিন।
মিশ্রণটি ভালো করে মাথার ত্বকে ও চুলে মাখিয়ে একটি প্লাস্টিক বা ফয়েল জাতীয় কিছু দিয়ে মাথা মুড়ে ফেলুন। এর ওপরে একটি তোয়ালে বা কাপড় জড়িয়ে নিন। এভাবে এক ঘণ্টা রাখার পর ভালো করে জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কলা ও মধুর মিশ্রণ : চুল যাদের রুক্ষ হয়ে গিয়েছে, তারা কলা এবং মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এর ব্যবহারে চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে আর সেই সঙ্গে চুল হয়ে উঠবে মোলায়ম।
দুটি পাকা কলা এবং দুই চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে মাথা ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখার পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে মোটামুটি দুবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলেই চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে আর উজ্জ্বল।