ভদোদরা, ২৮ নভেম্বর– গুজরাতে যে কোনও নির্বাচনেই এতকাল দ্বিমুখী লড়াই হয়ে এসেছে। কিন্তু প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস নির্বাচনী বন্ড বাবদ পেয়েছে মাত্র সাড়ে ১০ কোটি টাকা। এবারের ভোটে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে উঠে আসা আম আদমি পার্টির জুটেছে ৩২ লাখ। বাকি সব দল মিলিয়ে পেয়েছে ২০ লাখ টাকা। অথচ মোদির পার্টির খাতে ১৬৩ কোটি।
গুজরাতে ইলেকটোরাল বন্ড খাতে গত পাঁচ বছরে ১৭৪ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এর ৯৪ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পার্টির তহবিলেই জমা পড়েছে ১৬৩ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়েছে গুজরাতের কোম্পানিগুলি।
নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই বন্ড চালু করা হয়। গোড়া থেকেই বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে আসছে, সরকারকে তুষ্ট করতেই শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি গেরুয়া শিবিরকে বেশি অর্থ দিচ্ছে। বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে তারা কর ছাড়-সহ নানা সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে বিজেপির তহবিল ভরে উঠছে।
পাশাপাশি সর্ব ভারতীয় স্তরের বহু কোম্পানিও গুজরাতের ইলেকটোরাল বন্ড কিনেছে। জাতীয় স্তর থেকে আসা টাকা বাটোয়ারার চিত্রটিও রাজ্যের থেকে ভিন্ন নয়। বিগত পাঁচ বছরে জাতীয় স্তর থেকে গুজরাতের খাতে ইলেকটোরাল বন্ড বাবদ জমা পড়ে ১৫৭১ কোটি টাকা। তারমধ্যে ১৫১৯ কোটি টাকাই পেয়েছে পদ্ম শিবির।
প্রসঙ্গত, ইলেকটোরাল বন্ড হল রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার স্বচ্ছ এক প্রক্রিয়া। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই বন্ড বিক্রি করে থাকে। মূলত কর্পোরেট কোম্পানিগুলি বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ দিয়ে থাকে। এসবিআই সূত্রে তথ্য জানার অধিকার আইন বলে বন্ড বাবদ জমা অর্থের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।