কেরলের পর গুজরাট, ১৪ বছরের মেয়েকে মেরে দেবতাকে উৎসর্গ করল পরিবার 

ভদোদরা, ১৩ অক্টোবর– দুদিনও কাটে নি এর মধ্যেই কেরলের নরবলি কাণ্ডের ছায়া গুজরাটে। কেরলের নরবলি কাণ্ডে এখনো বেরিয়ে আসছে নৃশংসতার একের পর রহস্য। বেঁধে রেখে অত্যাচার, নরবলি, দেহ কুপিয়ে ৫৬ টুকরো, সেই দেহের মাংস খাওয়া– কী না ঘটেছে সেখানে। এসবের মাঝেই ফের নরবলির অভিযোগ । এবার ঘটনাস্থল গুজরাত, গির সোমনাথ জেলার ধারা গির গ্রাম। সেখানে একটি পরিবারে ১৪ বছরের কিশোরীকে বলি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

জানা গেছে, নবরাত্রিতে সংসারের মঙ্গলকামনায় এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের তরফে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ অক্টোবর। সব থেকে আতঙ্কের ব্যাপার হল তরুণীকে বলি দিয়েছে নিজের পরিবারই। পরিবারের সদস্যরাই বাড়ির মেয়েকে ‘উৎসর্গ’ করেছে দেবতার পায়ে! প্রাচুর্য আসার লোভে  মাঝরাতে ঘরেই বলি দেওয়া হয় মেয়েটিকে, তার পরে খামারবাড়ি-সংলগ্ন জমিতে দাহও করা হয় কয়েক দিন পর৷ এমনকি এই মৃত্যু পঞ্চায়েতকে এখনও জানানোও হয়নি।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী সুরাতে থেকে পড়াশোনা করত৷ মাস ছয়েক আগে মেয়েকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে গ্রামে নিয়ে চলে আসে তার বাবা ভবেশ৷ এর পরে সেখানেই ঘটে নৃশংস কাণ্ড। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর বাবা-মায়ের বিশ্বাস ছিল, বলি দেওয়ার পরে মেয়ে আবার বেঁচে উঠবে৷ এ জন্য চারদিন রেখে দেওয়া হয় দেহ৷ শেষে খামারেই দাহ করা হয়৷ গ্রামবাসীদের সন্দেহ হলে তাঁরাই খবর দেন পুলিশে।