• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রেলকর্তার মেয়ের জুতো খুঁজতে একমাস হন্যে খোঁজ জিআরপি, আরপিএফ এবং আইআরসিটিসির 

ওড়িশা, ১৭ ফেব্রুয়ারি– রেলকর্তার মেয়ে বলে কথা। তারই কিনা ট্রেনে জুতো চুরি। তাই রেলপুলিশ (জিআরপি), রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ), এমনকি আইআরসিটিসিকেও কাজে লাগানো হল সেই জুতো খুঁজে বার করতে।  ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে জোনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) বিনীত সিংহ অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত ৪ জানুয়ারি ওড়িশা থেকে লখনউ যাচ্ছিল তাঁর মেয়ে। ট্রেনের এসি প্রথম

ওড়িশা, ১৭ ফেব্রুয়ারি– রেলকর্তার মেয়ে বলে কথা। তারই কিনা ট্রেনে জুতো চুরি। তাই রেলপুলিশ (জিআরপি), রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ), এমনকি আইআরসিটিসিকেও কাজে লাগানো হল সেই জুতো খুঁজে বার করতে। 

ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে জোনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) বিনীত সিংহ অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত ৪ জানুয়ারি ওড়িশা থেকে লখনউ যাচ্ছিল তাঁর মেয়ে। ট্রেনের এসি প্রথম শ্রেণির কামরায় ছিলেন তিনি। লখনউয়ে নামার সময় দেখেন, ১০ হাজারের সেই জুতোজোড়া নেই। ডিআরএমের মেয়ের অভিযোগ, বরেলীতে এক মহিলা সহযাত্রী ট্রেন থেকে নেমেছিলেন। তিনিই ওই জুতো চুরি করেছেন। আর নিজের পুরনো জুতো ফেলে রেখে গিয়েছিলেন।

এরপর উত্তরপ্রদেশ থেকে ওড়িশা পর্যন্ত এক মাস ধরে সেই জুতোর খোঁজ চালানো হয়। শুধু বরেলী জিআরপি-ই নয়, ডিআরএমের মেয়ের জুতো খোঁজার কাজে নেমে পড়ে আরপিএফ এবং আইআরসিটিসিও। এক মাস ধরে দিনরাত খোঁজার পর অবশেষে বরেলীতে নেমে যাওয়া সেই মহিলা যাত্রীর খোঁজ পায় রেলপুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা যাত্রী পেশায় এক জন চিকিৎসক। কর্মসূত্রে তিনি দিল্লিতে থাকেন। চিকিৎসককে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। চিকিৎসকের দাবি, বরেলী স্টেশন এসে যাওয়ায় তিনি তাড়াহুড়ো করে তাঁর সহযাত্রীর জুতো পরে নেমে পড়েছিলেন। যদিও পরে চিকিৎসক ডিআরএমের মেয়ের সেই দশ হাজারি জুতো ফেরত দিয়েছেন।