মিসাইল ছুডে় উডি়য়ে দিল জাহাজ!
দিল্লি, নভেম্বর– এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অতিক্রম করল নৌসেনা৷ এদিন, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও-র সহযোগিতায়, একটি সিকিং ৪২বি হেলিকপ্টার থেকে প্রথমবার ছোড়া হল, দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র৷ আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে, ক্রমেই বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা৷ আর সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে, মঙ্গলবার, নৌসেনা জানিয়েছে, এদিন ছিল ক্ষেপণাস্ত্রটির গাইডেড ফ্লাইট ট্রায়াল৷ আর সেই ট্রায়ালে পূর্ণ সাফল্য এসেছে৷ এই সাফল্য, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে তাদের স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে নৌসেনা৷
ডিআরডিও-র পক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়েছে এই এনএএসএম-এসআর বা নাভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল-শর্ট রেঞ্জ৷ হেলিকপ্টার থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায় জাহাজ লক্ষ্য করে৷ দীর্ঘদিন ধরেই আকাশপথে জাহাজে হামলা চালানোর মত, দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রিজ মিসাইলের অপেক্ষায় ছিল নৌসেনা৷ এদিনের সফল পরীক্ষার পর, নৌসেনার সেই চাহিদা মিটল বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা৷ ১৯৮০ সাল থেকেই সমুদ্র-ঈগল জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল ব্যবহার করে ভারতীয় নৌসেনা৷ নৌসেনার ওয়েস্টল্যান্ড সি কিং এমকে৪২বি মাল্টিপারপাস কপ্টারগুলি থেকে এই মিসাইল ছোড়া হয়৷ সমুদ্র-ঈগল মিসাইলগুলির জায়গাই নিতে চলেছে এনএএসএম-এসআর৷ পাল্লা কম, টেকঅফের ওজন বেশি – এই রকম বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল সমুদ্র-ঈগল মিসাইলগুলির৷ এনএএসএম-এসআর মিসাইলগুলি সেই ফারাকগুলি ভরাট করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এনএএসএম-এসআর তৈরির প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন৷ এর জন্য, ৪৩৪.০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল৷