• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ওষুধ কোম্পানিগুলোতে কেন্দ্রের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’! ভুয়ো কারবার রুখতে তত্পরতা 

দিল্লি,২৮ ডিসেম্বর– একদিকে ঘুষধারী ডাক্তার অন্যদিকে ভুয়ো ওষুধের রমরমা। মানুষের জীবনের পরওয়া না করেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ হোক বা ভুয়ো ওষুধ, দেশের অনেক কোম্পানিই সেসব বিক্রি ও রফতানি করে চলেছে। এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। বিশেষ করে ভারতের কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে আফ্রিকায় শিশু মৃত্যুর পরে এ সন্দেহ আরও চেপে বসেছে। আর তারপরই

দিল্লি,২৮ ডিসেম্বর– একদিকে ঘুষধারী ডাক্তার অন্যদিকে ভুয়ো ওষুধের রমরমা। মানুষের জীবনের পরওয়া না করেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ হোক বা ভুয়ো ওষুধ, দেশের অনেক কোম্পানিই সেসব বিক্রি ও রফতানি করে চলেছে। এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। বিশেষ করে ভারতের কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে আফ্রিকায় শিশু মৃত্যুর পরে এ সন্দেহ আরও চেপে বসেছে। আর তারপরই ভুয়ো ওষুধের কারবারের পর্দা ফাঁস করতে এবার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ শুরু করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সূত্রের খবর, ভুয়ো ওষুধ তৈরী ও রফতানির গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে তৈরি হবে কমিটি ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও)। ।

ইতিমধ্যেই সেই নজরদারি শুরু হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। কারণ সেখানেই রয়েছে দেশের ওষুধ তৈরির সবচেয়ে বড় কারখানাগুলি। ১২টি ওষুধ তৈরির ইউনিটে অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ দল। কী পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরি হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মানা হচ্ছে কিনা, ওষুধের গুণগত মান কেমন, ওষুদের ট্রায়াল ও সেফটি ট্রায়ালের বিস্তারিত রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন, কোনও কিছু গোপন করা হচ্ছে কিনা, তাও খুঁটিয়ে দেখবেন কমিটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

হিমাচলের ড্রাগ কন্ট্রোলার নভনীত মারওয়াহ বলেছেন, ওষুধের গুণমান বজায় না রাখা ও উৎপাদনের পদ্ধতির ত্রুটির কারণে রাজ্যের একাধিক ওষুধ কারখানার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়েছে। একটি কারখানার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলার বলছেন, কোন কোন কোম্পানিগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে জানানো হবে না। খুব গোপনে অভিযান চালানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের সব রাজ্যেই কেন্দ্রের দল গিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলির উৎপাদন পদ্ধতি খতিয়ে দেখবে। এই কাজে সব রাজ্যেরই সরকার সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ওষুধ সরবরাহ করে। বিশ্বের বহু দেশে ভারতের ফার্মা কোম্পানির তৈরি ওষুধ বিক্রি হয়। তাই সেক্ষেত্রে গুণমান বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা সবসময় নজরে রাখতে হবে ফার্মা কোম্পানিগুলিকে। কিন্তু লাভ দেখতে গিয়ে ওষুধের গুণমান বজায় রাখার কথা ভাবছে না অনেক সংস্থাই। সেই সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়া হবে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে।