দিল্লি, ২৩ আগস্ট — সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সমর উপকরণের মজুত বাড়াতে তৎপর হল ভারতীয় সেনা। একদিকে লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে অশান্তি, অন্যদিকে ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। এর মধ্যে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কেনার জন্য দেওয়া বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি-র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ছ’মাস পর্যন্ত স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনাকে জরুরি ভিত্তিতে দেশে তৈরি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকে জরুরি ভিত্তিকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার জন্য় ‘ফাস্ট ট্র্যাক স্কিম’-এর অনেক চুক্তিও রয়েছে। হাল্কা মেশিনগান, পাহাড়ি অঞ্চলে সহজে চলাচল করতে পারে, যুদ্ধাস্ত্র বয়ে নিয়ে যেতে পারে এমন হাল্কা সামরিক যান এবং সেনাদের নিরাপত্তার জন্য ‘পার্সোনাল প্রোকেক্টিভ গিয়ারস’ কেনার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
বালাকোট-পর্বের সময়ও একই ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনীকে । উরি হামলার পরেও জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক অস্ত্র কেনার জন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল সেনাবাহিনীকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, চিনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তাতে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ভারতের ভাঁড়ারে না থাকলে সমস্যা হবে। তাই সামরিক শক্তি আগে থেকেই বাড়িয়ে রাখতে হবে। পাহাড়ি এলাকায় ও দুর্গম এলাকায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে সব ধরনের সামরিক অস্ত্র ভারতীয় বাহিনীর হাতে মজুত থাকে সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।