• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আর নয় দাসত্বের প্রতীক, এবার ‘ঔপনিবেশিক’ আইপিসি বদলে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’

দিল্লি, ১১ আগস্ট– ব্রিটিশরা ভারত ছেড়েছে তিনশো বছর আগে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইনের এখনো চলছে সেই ব্রিটিশ আমলের শাসন। এমনই তিন ফৌজদারি আইনে পাল্টে দিতে চলেছে কেন্দ্র। আর থাকছে না ‘ঔপনিবেশিক’ ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি । একই সঙ্গে বিলুপ্ত হতে চলেছে কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর বা সিআরপিসি, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন

দিল্লি, ১১ আগস্ট– ব্রিটিশরা ভারত ছেড়েছে তিনশো বছর আগে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইনের এখনো চলছে সেই ব্রিটিশ আমলের শাসন। এমনই তিন ফৌজদারি আইনে পাল্টে দিতে চলেছে কেন্দ্র। আর থাকছে না ‘ঔপনিবেশিক’ ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি । একই সঙ্গে বিলুপ্ত হতে চলেছে কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর বা সিআরপিসি, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট। এই তিন ব্রিটিশ আমলের আইনের পরিবর্তে তিনটি নতুন আইন আনার লক্ষ্যে শুক্রবার তিনটি বিল এনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শাহর পেশ করা বিল অনুযায়ী, ১৮৬০ সালের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি এবার হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। সিআরপিসি বদলে গিয়ে হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট বদলে হবে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। শুক্রবার এই তিনটি বিলই লোকসভায় পেশ হয়েছে। তবে এখনও সেটা পাশ হয়নি। আরও পর্যালোচনার জন্য এই তিনটি বিল পাঠানো হয়েছে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে।

শাহ এদিন বলেন, ব্রিটিশ আমলে ইংরেজদের দাসত্বের প্রতীক ছিল এই আইপিসি, এবং সিআরপিসি। আমাদের আমলে এই ব্রিটিশ আইন চলবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্রিটিশ আমলে এই আইপিসি ছিল ভারতীয়দের শাস্তি দেওয়ার আইন। শাস্তি দেওয়ায় ছিল এই আইনের মূল উদ্দেশ্য। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা নয়। আমরা যে নতুন আইন আনব, সেটার মূল উদ্দেশ্য হবে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।

সূত্রের খবর, কেন্দ্র যে নতুন আইন আনছে তাতে পুরনো ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের বেশ কিছু ধারা বাতিল করা হচ্ছে। কয়েকটি ধারা সংশোধনও করা হচ্ছে। একইভাবে সিআরপিসি এবং সাক্ষ্য আইনেও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সবকটা আইনের নামের ক্ষেত্রেই হিন্দি ভাষা প্রাধান্য পেয়েছে।