মুম্বাই, ৮ মার্চ– শহুরে জীবনে এখন তো বেশ কিছু পাখি প্রায় বিলুপ্ত। তবু যাদের দেখা যায় তাদের মধ্যে পায়রা একটা। আর এই পায়রা দেখলেই অনেকে চাল, গম এবং দানাশস্য খেতে দেন। আর এখানেই বিপত্তি। পায়রাকে খাওয়াতে দেখলেই রক্ষে নেই মহারাষ্ট্রের ঠানেতে । খাবার দিলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্রের ঠাণে নগর নিগম। শহরে হাইপার সেন্সিটিভ নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের রোগ ক্রমশ বাড়ছে। আর তা ক্রমশ উদ্বগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। শহরে এই ধরনের রোগের বাড়বাড়ন্তের জন্য পায়রাকেই দায়ী করছে প্রশাসন। তাদের দাবি, পায়রার বিষ্ঠা এবং পাখনা থেকেই এই ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে শহর জুড়ে। সচেতনতা বাড়াতে তাই শহর জুড়ে পোস্টার লাগানো হচ্ছে। মাইকে প্রচারও চলছে।
খবর অনুযায়ী, ঠাণে নগর নিগম শহর জুড়ে যে পোস্টার লাগিয়েছে, সেখানেই জরিমানার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। শহরে বাড়তে থাকা রোগের আবহে পায়রাকে খাবার দিলেই ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বই, ঠাণে এবং পুণের মতো শহরে হাইপার সেন্সিটিভ নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের রোগ বাড়ছে। আর এর জন্য পায়রাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, পায়রার কাছাকাছি যে সব মানুষ থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। বিষ্ঠায় থাকা ব্যাকটেরিয়া বাতাসের মাধ্যমে পায়রার কাছাকাছি থাকা লোকজনের শরীরে প্রবেশ করে। তখনই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।