দার্জিলিং:- দীপাবলির ছুটিতে যেতে চাইছেন কোনও অফবিট লোকেশনে। কম খরচে বেড়িয়ে আসুন দার্জিলিং পাহাড়ের গায়ে এই ছোট্ট গ্রাম থেকে। নাম তাকলিং। ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম হলে কি হবে তার সৌন্দর্য দেখার মতো। অসাধারন তাঁর প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য। রাতের অন্ধকারে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে এই গ্রামটি। জানা গিয়েছে, হোমস্টের বারান্দায় বসেই সিকিম পাহাড়, কালিম্পং, কার্শিয়াং দেখা যায়। অন্ধকারে দেখে মনে হয় যেন অসংখ্য জোনাকি পোকা একসঙ্গে জ্বলে উঠেছে। অক্টোবর মাসে এখানে এলে দেখতে পাবেন সবুজ সবুজ কমলা লেবু ধরে রয়েছে গাছে। গ্রামে ধাপ কেটে কেটে চাষ হয়। এক এক ধাপে এক এক রকম সবজির চাষ হচ্ছে। হোমস্টের সব খাবারই এই সব অর্গ্যানিক শাক সবজি দিয়েই তৈরি হয়। সেকারণে খাবারের স্বাদও অসাধা্রণ হয়। সেই সঙ্গে গ্রামের খাঁটি গরুর দুধ আর ঘি খাওয়ার স্বাদও মিলবে। জানা গিয়েছে, এই গ্রামে মৌমাছি প্রতিপালনের একটা চল রয়েছে। সেকারণে প্রতিটি বাড়িতেই মৌমািছর চাক দেখা যায়। অনেকে আবার নার্সারি তৈরি করে গাছ বিক্রি করে থাকেন। পাহাড়ের একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে থাকা যায় এখানে। প্রতিটি বাড়িতে অসংখ্য পাহাড়ি রং বেরঙের ফুল দেখা যায় এখানে। দুপুরে খাবার খেয়ে নিয়ে একটু হেঁটে ঘুরে দেখুন গ্রামের চারপাশটা। দূর থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং সেই সঙ্গে সিকিম দেখতে পাবেন। কাছেই রয়েছে পাইনের জঙ্গল। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন। রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ফার্ন গাছ। পাহাড়ের ধাপে ধাপে ছোট ছোট বাড়ি অসাধারণ লাগে। এখান থেকে অনায়াসে অনেক জায়গা ঘুরে নেওয়া যায়। তার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং যেমন রয়েছে তেমন রয়েছে ছোট মাঙ্গোয়া, বড় মাঙ্গোয়া তাকদা। কাজেই এখানে এলে একটা দিন এখানে কাটিয়ে বেড়িয়ে আসুন আশপাশের জায়গা গুলি থেকে। তবে এই জায়গাটিতে একদিন কাটাতে ভুলবেন না।