রাজস্থানে কংগ্রেসের ‘হর্তাকর্তা’ গেহলতই! সহকারী পাইলট

জয়পুর, ১২ অক্টোবর– রাজস্থানে কংগ্রেসের শেষ ভরসা তাহলেই গেহলতই৷ শচীন পাইলটের সঙ্গে তাঁর সন্ধি হয়ে গেলেও ভোটে প্রার্থী বাছাই, দলের প্রচার কৌশল বাছাই, সবকিছুর হর্তাকর্তা থাকছেন অশোক গেহলতই৷ তবে শচীনকে তাই বলে পিছনের সারিতে ফেলা হয়নি৷ শচীন থাকছেন তাঁর সহযোগী হিসাবে৷ এমনটাই খবর কংগ্রেস সূত্রে৷
রাজস্থানে এমনিতে ৫ বছর অন্তর অন্তর সরকার বদলায়৷ এবারেও সেই আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি৷ যদিও কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থানে অশোক গেহলত এখনও বেশ জনপ্রিয়৷ এবার সরকার বদলের রীতি বদলে যেতে পারে৷ সেকারণেই তাঁকে মুখ করে এগোনো হচ্ছে৷ যদিও সরকারিভাবে সেটা ঘোষণা করছে না হাত শিবির৷
বেশ কিছুদিন ধরে কংগ্রেসের রাজনীতিতে কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলত দুই মেরুতে অবস্থান করছিলেন৷ দিনরাত তাদের দু’জনের একে অপরের দুর্নাম শুনতে হচ্ছিল কংগ্রেস হাই কমান্ডকে৷ কংগ্রেস সূত্রের দাবি, তাঁরা এখন একজোট৷ নিজেদের বিবাদ মিটিয়ে রাজ্যে বিজেপিকে কীভাবে রুখে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছেন৷ যদিও সেই ঐক্য এখনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি৷ এখনও একসঙ্গে জনসভা করেননি পাইলট এবং গেহলত৷ কংগ্রেস চাইছে দ্রুত সেই কাজটা হয়ে যাক৷

শোনা যাচ্ছে, রাজস্থানে টিকিট বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে অশোক গেহলতকেই৷ ২০০ আসনের মধ্যে ১২০-১৩০টি আসনেই প্রার্থী নির্বাচনের ভার গেহলতের উপর৷ এই আসনগুলিতে তিনি কোনও নতুন মুখ চাইলে আনতে পারবেন, চাইলে বিধায়কদের আসন বদলে দিতে পারবেন, চাইলে বিধায়কদের বাদও দিতে পারবেন৷ বাকি ৭০-৮০টি আসনে প্রার্থী বাছবেন শচীন পাইলট-সহ অন্য নেতারা৷ অর্থাৎ প্রার্থী বাছাইয়ের অংশীদারীতে অনেকটাই পিছিয়ে পাইলট৷ যার অর্থ ফের কংগ্রেস সরকার গঠিত হলে বিধায়কদলে প্রাধান্য থাকবে গেহলত অনুগামীদেরই৷