বড়লোকের তালিকায় প্রথম পাঁচেও জাগয়া নেই পশ্চিমবঙ্গের

শুধু দেশের নয়, রাজ্যের এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিরও ক্ষেত্রেও জিডিপি পরিমাপ করা হয়৷ জিডিপি অর্থাৎ গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট কোনও এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পরিমাপ সূচক৷  এই জিডিপি-র নিরিখে এবার জানা গেল প্রথম দশে থাকা রাজ্যগুলি নাম৷
জিডিপির নিরিখে সবার ওপরে রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাম৷ আকারের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম এই রাজ্যের গণসংখ্যা ১১.২ কোটি৷ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এর জিএসডিপি (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) ৩৮.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা৷ দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ু রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে৷ এ রাজ্যের জিএসডিপি ২৮.৩ লক্ষ কোটি টাকা৷ তামিলনাড়ুর জনসংখ্যা প্রায় ৭.২ কোটি৷ তারপরই স্থান দখল করেছে গুজরাত৷ ৬ কোটি জনসংখ্যার এই রাজ্য আয়তনের নিরিখে দেশে পঞ্চমে থাকলেও জিএসডিপি ২৫.৬২ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে তৃতীয়ে রয়েছে৷
দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের জনসংখ্যা ৬.১ কোটি৷ তথ্য প্রযুক্তির হাব হিসাবে পরিচিত এই রাজ্য রয়েছে চতুর্থ স্থানে৷ এর জিএসডিপি ২৫ লক্ষ কোটি টাকা৷ তারপরে ১৯.৯ কোটি জনসংখ্যার উত্তর প্রদেশ (জিএসডিপি ২৪.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা) রয়েছে দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে৷ পশ্চিমবঙ্গের নাম রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে৷ এ রাজ্যর জনসংখ্যা ৯.১ কোটি৷ এ রাজ্যের জিএসডিপি ১৭.১৯ লক্ষ কোটি টাকা৷ তবে আয়তনে দেশের বৃহত্তম রাজ্য রাজস্থান জিডিএসপি-র নিরিখে রয়েছে সপ্তম স্থানে৷ ৬.৮ কোটি জনসংখ্যার এ রাজ্যে জিএসডিপি ১৫.৭ লক্ষ কোটি টাকা৷ ৪.৯ কোটি জনসংখ্যার তেলুলুভাষী রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ৷ অষ্টম স্থানে থাকা এ রাজ্যের জিএসডিপি ১৪.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা৷ তেলঙ্গানা রয়েছে নবম স্থানে৷ সাডে় তিন কোটি জনসংখ্যার এই রাজ্যে জিএসডিপি ১৪ লক্ষ কোটি টাকা৷ দশম স্থানে ঠাঁই হয়েছে মধ্য প্রদেশের৷ ৭.২ কোটি জনসংখ্যার এই রাজ্যের ডিএসডিপি ১৩.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা৷ এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে কেরল, হরিয়ানা, দিল্লি, ওডি়শা, বিহার, পঞ্জাব, অসম, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, গোয়া৷