এর পর ফের কেনাবেচা শুরু হয় ঠিকই, কিন্তু তাতেও পতন রোখা যায়নি। আদানি পাওয়ার, আদানি টোটাল গ্যাস ইত্যাদির শেয়ার আরও ৫ শতাংশ পড়ে যায়। ফলে আবার কেনাবেচা থামাতে হয়।
ভারতের সম্পত্তি লুঠ করছে আদানি এই মর্মে আদানির সম্পদ মূল্যায়নে প্রচুর জালিয়াতির দাবি করেছিল মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের এও বক্তব্য লিস্টেড কোম্পানি থেকে কর ফাঁকি দেওয়া টাকা সাইপ্রাস সহ ট্যাক্স হেভেনগুলিতে সরিয়েছে। তার পর সেই টাকা ভুয়ো কোম্পানি মারফৎ ফের বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত কোম্পানিতে।
এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সূচক এস অ্যান্ড পি ডাও জোনস জানিয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার তারা সরিয়ে দেবে। যা আরও বড় অস্বস্তির কারণ হতে চলেছে।
এই তথ্য ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আদানি দাবি করলেও, হিন্ডেনবার্গের বক্তব্য তাদের সল প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে আদানি শিল্পগোষ্ঠী। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আদানি শিল্পগোষ্ঠী সম্পর্কে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারান। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শেয়ারের দাম কমতে কমতে আদানির মার্কেট ক্যাপ ১০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে গিয়েছে। শুক্রবার তার আরও বেশ খানিকটা কমে গেল।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ আদানির তিনটি সংস্থার শেয়ারের উপর কড়া নজরদারি রেখেছে। সেই তিন সংস্থা হল আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস এবং অম্বুজা সিমেন্ট। তার ফলে এই তিন সংস্থার শেয়ার কেনাবেচায় ইন্ট্রা-ডে লিভারেজও এখন সীমিত হয়ে গেল।