কলকাতা ,২১ ফেব্রুয়ারি — গত এক বছরে ৭০ বার মোবাইলের সিম, ১২ বার মোবাইল ফোন বদল, জায়গা বদল , এবং বাড়ি বদল করেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়া গেল না। শনিবার দিল্লির মেহেরৌলি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হলো প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত নীলাঞ্জন দাশগুপ্তকে। গ্রেফতার করেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। ধৃতকে রবিবার ট্রানজ়িট রিমান্ডে এনে আলিপুর আদালতে তোলা হয়. বিচারক ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের মার্চে ডানকুনির বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী অভিযোগ জানান, তাঁকে ২০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত ও তার স্ত্রী। তারা ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ প্রায় ৯৭ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু তিনি ঋণ পাননি। এই প্রতারণার ঘটনায় নীলাঞ্জনের স্ত্রীও অভিযুক্ত। তিনি পলাতক। এই ঘটনায় রাজদীপ চৌধুরী নামে আর এক অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে রাজদীপ জেল হেফাজতে রয়েছে। তাকে নীলাঞ্জনের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সোমবার রাজদীপকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারীরা।নীলাঞ্জনের বিরুদ্ধে গোটা রাজ্যে আটটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারি এড়াতে নীলাঞ্জন কখনও গুয়াহাটি, কখনও দিল্লি বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। শেষের দিকে কয়েক মাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে মাঝেমধ্যেই বাড়িও বদল করছিল। অবশেষে গত শনিবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ওই প্রতারক।