• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভবিষ্যত’ গড়ার লক্ষ্যে একমত  জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের  সদস্য দেশগুলি

দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর –   ভবিষ্যত’ গড়ার লক্ষ্যে একমত হল  জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের  সদস্য দেশগুলি।    ‘এক পথিবী’ এবং ‘এক পরিবারে’র সহমত হলেন বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে যখন গোটা বিশ্ব আন্দোলিত তখন  নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সফলভাবে নেতৃত্ন দিয়েছেন , এমন প্রতিক্রিয়া জানান সম্মেলনের মুখ্য সমন্বয়কারী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।  এই সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক এবং

দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর –   ভবিষ্যত’ গড়ার লক্ষ্যে একমত হল  জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের  সদস্য দেশগুলি।    ‘এক পথিবী’ এবং ‘এক পরিবারে’র সহমত হলেন বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে যখন গোটা বিশ্ব আন্দোলিত তখন  নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সফলভাবে নেতৃত্ন দিয়েছেন , এমন প্রতিক্রিয়া জানান সম্মেলনের মুখ্য সমন্বয়কারী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।  এই সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক এবং যুগান্তকারী’ বলে বর্ণনা করেছে কেন্দ্র।
যাঁরা এই বিশাল কর্মকাণ্ডকে সফল করতে সাহায্য করেছেন তাঁদেরও সমান কৃতিত্বের দাবিদার বলে জানান, জি- ২০ সম্মেলনের মুখ্য সমন্বয়কারী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করেছি প্রধামনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সফল সম্মেলন হয়েছে । দক্ষিণ বিশ্বের যে লক্ষ্য ছিল তা  আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি. এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের সভাপতিত্বে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-র স্থায়ী সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এজন্য আমরা গর্বিত।
সদ্য সমাপ্ত জি- ২০ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলি কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছল, তা নিয়ে নানা রকম ব্যাখ্যা আসতে শুরু করেছে। রাশিয়ার বক্তব্য, এই সম্মেলনের যৌথ ঘোষণাপত্রে ‘ভারসাম্যের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। আবার ফ্রান্সের বক্তব্য, রাশিয়াকে ‘কোণঠাসা’ করা গিয়েছে। কিন্তু অনেকের মতে, আয়োজক দেশ হিসাবে নিজের ভারসাম্যের নীতিকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে ভারত। জি-২০ বৈঠকেই ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়া হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত একটি অর্থনৈতিক করিডর তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  পশ্চিমি দুনিয়ার প্রায় সব দেশই এই অর্থনৈতিক করিডর তৈরির প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে।
২০২১ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ বৈঠকের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছিল, ‘অধিকাংশ সদস্য’ ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা করছে।   উল্লেখ্য যে, এত দিন পর্যন্ত আমেরিকা এবং পশ্চিমি দুনিয়ার চাপ সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সমর্থন করেনি ভারত। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগও ছিন্ন করেনি। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমি দেশগুলি অর্থনৈতিক অবরোধ চালিয়ে গেলেও মস্কোর থেকে অশোধিত তেল কেনা বন্ধ করেনি  ভারত। ভারত প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে রুশ-ইউক্রেন সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে।
এক সংবাদমাধ্যমে শ্রিংলা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ভারতের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সম্মেলনের অংশীদার করা, যাতে সবাই অনুভব করেন তাঁরাও দেশে আয়োজিত বিশাল সম্মেলনের সমান অংশীদার। এই ভাবনাই জি- ২০ সম্মেলনের সাফল্যের চাবিকাঠি।’