• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বর্ণবিদ্বেষের আঁচে উত্তাল ফরাসি পার্লামেন্ট

প্যারিস, ৪ নভেম্বর– বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে উত্তাল ফরাসি পার্লামেন্ট। অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পালটা গায়ের রং নিয়ে অপমান ফ্রান্সের অতি-বাম এমপি’র। যার জেরে পার্লামেন্টে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। শেষমেশ দুই এমপি’র মধ্যে বাকযুদ্ধে অধিবেশন পুরোপুরি মুলতুবি হয়ে গেল। যদিও  অপমানকারী এমপি’র পদত্যাগের দাবি উঠছে। প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলছেন, এ দেশের গণতন্ত্রে বর্ণবিদ্বেষের 

প্যারিস, ৪ নভেম্বর– বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে উত্তাল ফরাসি পার্লামেন্ট। অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পালটা গায়ের রং নিয়ে অপমান ফ্রান্সের অতি-বাম এমপি’র। যার জেরে পার্লামেন্টে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। শেষমেশ দুই এমপি’র মধ্যে বাকযুদ্ধে অধিবেশন পুরোপুরি মুলতুবি হয়ে গেল। যদিও  অপমানকারী এমপি’র পদত্যাগের দাবি উঠছে। প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলছেন, এ দেশের গণতন্ত্রে বর্ণবিদ্বেষের  কোনও স্থান নেই, তা মনে রাখতে হবে সবাইকে।

 

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়ালেন অতি-বাম ও অতি-ডানপন্থী দুই এমপি। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। অতি-বামপন্থী এমপি কার্লোস মার্তেঁস বিলোঁ অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিযোগ, প্রশ্ন শুনে খেপে যান অতি-ডান এমপি গ্রেগয়ের দে ফরনাস। এবং চিৎকার করে বলে ওঠেন, “গো ব্যাক টু আফ্রিকা”। তাতে স্তম্ভিত হয়ে যান বিলোঁ। পরে তিনি জানিয়েছেন, “এমন লজ্জাজনক ঘটনা জীবনে এই প্রথম। আজ আমাকে গায়ের রং নিয়ে অপমান করা হল! অথচ আমি জন্মেছি ফ্রান্স। আমি একজন ফরাসি ডেপুটি।”

 

বিষয়টি নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে যায় পার্লামেন্টের অন্দরে। অধিবেশনই মুলতুবি হয়ে যায়। সরকারের তরফে এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। গ্রেগয়েরের প্রতিক্রিয়ার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন বিবৃতি দিয়ে বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রে বর্ণবিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির উচিত, দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া।” ফরাসি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লে পেঁ টুইট করেন, “বিতর্ক শুরু হয়েছে দুই রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বাকযুদ্ধ থেকেই।”