বীরভূম ,১৬ জানুয়ারী — বগটুই কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখ মৃত্যু মামলায় সাসপেন্ড করা হলো চার সিবিআই কর্তাকে। সিবিআইএর অস্থায়ী ক্যাম্পে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় সাসপেন্ড করা হয় এই চার সিবিআই কর্তাকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই তদন্তকারী অফিসার ও দুই কনস্টেবলকে। চার জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রজ্ঞাত উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে ২৩ ডিসেম্বর জানানো হয়েছিল লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, হেফাজতে যদি কোনও বন্দি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, সেসময় যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের প্রত্যেককেই সাসপেন্ড করে তদন্ত চলে। তিন সপ্তাহ আগেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তবে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে দিয়েছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, বগটুই হত্যাকাণ্ডের নয় মাস পর গ্রেফতার হয়েছিল এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। গ্রেফতারির নয় দিনের মাথায় ডিসেম্বরের শেষে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালন শেখকে। লালনের জিভ ও পায়ে গুরুতর আঘাত ছিল বলে দাবি পরিবারের। এমনকি পা মাটির সঙ্গে লাগানো ছিল বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এদিকে লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল,গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, দেহে কয়েকটি ছড়ে যাওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই মামলায় আগেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই মামলাটি এখনও হাইকোর্টে বিচারাধীন।
২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখকে গুলি-বোমা মেরে খুন করা হয়। ৩ ডিসেম্বর বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করে। গত ১২ ডিসেম্বর, রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই দাবি করে, লালন আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু লালনের স্ত্রীএর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই মর্মে সিবিআই -এর ৭ আধিকারিকের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় এফআইআর করেন তিনি।
