• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১২৫ বছরের প্রথা মেনে বাড়ির বড় বৌমাকেই পুজো করে ইন্দাসের সাঁতরা পরিবার

বাঁকুড়া,২৫ অক্টোবর —বিশাল ঘটা করে কালীপুজোর দিন ১২৫ বছর ধরে দেবী কালিকার আরাধনা হয় ইন্দাসের সাঁতরা পরিবারে ।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।তবে এখানে মা কালীর মূর্তি নয় ,মা কালীর আসনে পূজিতা হন পরিবারের বড় বৌমা।এটাই প্রথা ইন্দাসের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাঁতরা পরিবারে।বহুবছর ধরে চলে আসছে এই রীতি।বাড়ির বড়ো বৌমাকে সাজানো হয় দেবীর মতো করেই। গলায় রক্তজবার

বাঁকুড়া,২৫ অক্টোবর —বিশাল ঘটা করে কালীপুজোর দিন ১২৫ বছর ধরে দেবী কালিকার আরাধনা হয় ইন্দাসের সাঁতরা পরিবারে ।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।তবে এখানে মা কালীর মূর্তি নয় ,মা কালীর আসনে পূজিতা হন পরিবারের বড় বৌমা।এটাই প্রথা ইন্দাসের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাঁতরা পরিবারে।বহুবছর ধরে চলে আসছে এই রীতি।বাড়ির বড়ো বৌমাকে সাজানো হয় দেবীর মতো করেই। গলায় রক্তজবার মালা, কপালে রক্তচন্দনের তিলক ,তারপর নিষ্ঠা ভরে পুজো করা হয় তাঁর।


বাড়ির কর্তা কার্তিকচন্দ্র সাঁতরা সাথে কথা বলে জানা যায় , সব নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এই পুজো করা হয়। কোনো ত্রুটি যেনবা না থাকে সেইদিকে বিশেষ নজর যেন তিনি নিজে।তিনি জানান প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই মা আছেন।এই ভাবনা থেকেই তাঁদের পরিবারে কালীপুজোর রাতে দেবীরূপে পুজো করা হয় বাড়ির বৌমাকে।তিনি বলেন “আমার মাকেও দেবী রূপে পুজো করা হয়েছিল ঠিক একইভাবে। তখন থেকেই এই পুজোর সূত্রপাত ।সেই প্রথা আজও চলে আসছে। আমাদের পরিবারের পুজোয় দেবীর কাছে হিংসামুক্ত সমাজের প্রার্থনা করা হয়।”

ঘটনাচক্রে মির্জাপুরের ওই পরিবারের জামাই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। এবার তিনিও কালীপুজোর রাতে উপস্থিত ছিলেন শ্বশুরবাড়ির পুজোয়। বাড়ির বড় বৌমা হওয়ায় শ্যামল সাঁতরার শাশুড়িই এখন দেবীরূপে পূজিতা হয়ে আসছেন। শ্যামলবাবু বলেন, “১২৫ বছরের প্রথা মেনে এবারও পুজো হলো।