• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারত থেকে খাবার আমদানির আর্তি বন্যা বিদ্ধস্থ পাকিস্তানের

ইসলামাবাদ, ৩০ অগাস্ট– বন্যায় বিধস্ত ভারতের পড়শী দেশ পাকিস্তান। জলে ডুবে অধিকাংশ শহর-গ্রাম। মৃত্যুই ইতিমধ্যেই ১০০ পার করেছে। আগেই মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত পাকিস্তানের এমতবস্থায় খাদ্য সংকটচরমে। পাকিস্তানের এমন দুরাবস্থায় পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত হয়েছে ভারত। সোমবার রাতে বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তানের জন্য জরুরি সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার জানা গেল, পাকিস্তানের এক মন্ত্রী ভারত

flood in pakistan

ইসলামাবাদ, ৩০ অগাস্ট– বন্যায় বিধস্ত ভারতের পড়শী দেশ পাকিস্তান। জলে ডুবে অধিকাংশ শহর-গ্রাম। মৃত্যুই ইতিমধ্যেই ১০০ পার করেছে। আগেই মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত পাকিস্তানের এমতবস্থায় খাদ্য সংকটচরমে। পাকিস্তানের এমন দুরাবস্থায় পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত হয়েছে ভারত। সোমবার রাতে বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তানের জন্য জরুরি সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার জানা গেল, পাকিস্তানের এক মন্ত্রী ভারত সরকারের এক মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ইসলামাবাদের তরফে দিল্লিকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান খাবার আমদানি করতে চায়।

একটি সর্বভারতীয় ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতের তরফে ইসলামাবাদকে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে সবজি, চাল, গম পাঠানোর বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই এইসব খাদ্যসামগ্রী সেখানে পাঠানোর ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে দিল্লির তরফে।

ইতিমধ্যেই বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বালুচিস্তানে। সেখানে বন্যার বলি ২৩৪। খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশে বন্যায় মারা গিয়েছেন ১৮৫ জন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বন্যা কবলিত হয়ে প্রাণ গিয়েছে ১৬৫ জনের। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরেও বন্যার প্রকোপ ব্যাপক। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। কারণ বন্যার কারণে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সেদেশে। সেইসঙ্গে বিরাট অঙ্কের সম্পদও নষ্ট হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তার ঠিক নেই। এরমধ্যে বৃষ্টি থামারও কোনও শুভ সঙ্কেত দিতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। তারা বলেছে সেপ্টেম্বরের গোড়া পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে। ফলে নতুন করে বহু এলাকা বন্যা কবলিত হতে পারে সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে শুধু ১-২৭ অগস্ট পর্যন্ত ১৭৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২৪৭ শতাংশ বেশি। পাকিস্তান সরকার বিত্তশালীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, বন্যারত্রাণে মুক্তহস্তে দান করার জন্য। ইসলামাবাদ মনে করছে, নাগরিক উদ্যোগ ছাড়া শুধু সেনাবাহিনী আর বিপর্যয় মোকাবিলা দল দিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারমধ্যে এই বন্যা মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবেই মনে করছেন অনেকে।