কটক, ৭ ডিসেম্বর – ফের চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার ভোরে ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়াগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন লেগে যায়। ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনটি কটকের কাছে পৌঁছতেই একটি কামরার ব্রেক শু থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এরপরই আগুন নজরে আসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কামরার নীচের দিকে থেকে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি কটক স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয়। সব যাত্রীদের দ্রুত ট্রেনের ভিতর থেকে বের করে আনা হয়। যদিও কামরার ভিতর দিকে কোথাও কোনও আগুন লাগেনি। যে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়, তা কামরার বাইরের নীচের দিকের অংশে। যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে তড়িঘড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন লাগার ঘটনায় হাওড়াগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেস বেশ কিছুক্ষণ কটক স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বিশাল বাহিনী। পৌঁছে যান রেল আধিকারিকরাও।আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফের ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে রেল।
হাওড়াগামী দূরপাল্লার ট্রেনে আগুন লাগার এই ঘটনায় ভোরবেলাতেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল বেলা ঘুমচোখে যাত্রীদের মধ্যে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কটক স্টেশনে থামার সময় জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের ব্রেক বাইন্ডিংয়ে একটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। সে সময়ই ট্রেনটিতে আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে একটি কোচের নীচের অংশ। ভুবনেশ্বর হাওড়া -জনশতাব্দী এক্সপ্রেস এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ যখন কটক স্টেশনে ঢুকছিল, সেই সময় এই ঘটনা নজরে আসে। ইস্ট কোস্ট রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অশোক মিশ্র জানিয়েছেন, লোকো পাইলট প্রথম বিষয়টি বুঝতে পারেন। তিনি দেখেন, ডি-নাইন কামরার ব্রেক বেন্ডিং হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রচুর ধোঁয়া দেখা যায়। রেলের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা এসে ব্রেক রিলিজ করেন এবং এই ঘটনার জেরে প্রায় ৪৫ মিনিট ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। কিন্তু, কেন এই ব্রেক বেন্ডিং হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে স্টেশনে প্রবেশ করার মুহূর্তে এই আগুন লাগায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে রেল জানিয়েছে। স্টেশনের আরপিএফ আধিকারিক এবং দমকল দ্রুত পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়। এমারজেন্সি ঘোষণা করে যাত্রীদেরও সতর্ক করা হয়। তবে এই আগুনের জেরে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা চত্বর। ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরাও। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরই ট্রেনটিকে রওনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই ট্রেনটি ফের চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর দিল্লি-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ আগুন লাগে। ট্রেনের একাধিক কামরায় আগুন ধরে যায়। প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আতঙ্কে চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। র্ঘটনাটি ঘটে উত্তর প্রদেশের এটাওয়াতে। দিল্লি থেকে মেরঠ যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।