সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। বিশেষ অধিবেশন শুরু আগের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নতুন সংসদের গজদ্বারে জাতীয় পতাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই দিন আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। প্রতি বারের মতোই এ বারও লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ধুমধাম করে পালনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন ঘিরে নানা ধরনের জল্পনা ছিল। সরকার এই বিশেষ অধিবেশনে দেশের নামবদলের প্রস্তাব আনতে পারে এমনটাও মনে করছিলেন অনেকে । কারও কারও আবার বক্তব্য ছিল, এক দেশ এক নির্বাচন বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিতর্কিত বিল আনা হতে পারে। কোনও কোনও মহল আবার বলছিল, ওবিসি সংরক্ষণ বা মহিলা সংরক্ষণ বিল আনতে পারে কেন্দ্র। তবে, শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটালো মোদি সরকার।
তবে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনে সব সাংসদকে যোগ দিতে হবে বলে হুইপ জারি করেছে বিজেপি। আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। ওই পাঁচদিনই দলের সব সাংসদকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে গেরুয়া শিবির, যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত এজেন্ডায় বিতর্কিত কোনও বিল নেই। সরকার যে চার বিল পেশ করার কথা বলেছে , তাতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ছাড়া বাকি বিলগুলিতে আপত্তিরও কিছু নেই বিরোধীদের। তাহলে কেন দলের সব সাংসদকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন,”আমি নিশ্চিত আসল বিলের গ্রেনেড আস্তিনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে । শেষ মুহূর্তে বের করা হবে। পর্দার পিছনে অন্য কোন কিছু নিশ্চিত আছে।”