২০২৩-এর থাক শুধু ভালোলাগা 

2024

সুনীতা দাস 

সময় আসে-যায়। তার না আছে দাঁড়াবার সময় না কারুর দিকে ফিরে দেখার সময়। অথচ গোটা দুনিয়া তার দিকে ধাবমান। তাঁকে ধরতে আমরা ছুটছি আর ছুটছি। হাতের মুঠোয় তাঁকে ধরতে আমরা প্রাণপাত করলেও কিন্তু সে সবার হাতের মুঠো থেকে বালির মত ফিসলে এগিয়ে চলে নিজের তালে। ঠিক সেই রকমই ২০২৩ কখন যে হুঁশ করে বেরিয়ে চলে এলো ২০২৪। কত জিত কত হার সব মিলিয়ে স্মৃতির ভান্ডার পরিপূর্ন ২০২৩ এর। যদিও মানুষের ধর্ম খারাপ ভুলে ভালোকে আঁকড়ে ধরা। তাই আমরাও যে স্মৃতিচারণ আজ করতে চলেছি তাও যেন হয় আপনার ভালোলাগার।

ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে… এখন কিন্তু এটা আর বলা যাবে না। বরং বলতে হবে -ভারত এখন জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে। সে  রাজনীতি হোক বা বিজ্ঞান, খেলা হোক বা বিনোদন- সবক্ষেত্রেই বিশ্বসেরাদের সঙ্গে একাসনে বসেছে দেশ। আকাশ থেকে ধরিত্রী সবেতেই এবার চমক দেখিয়েছে ভারত। একদিকে চন্দ্রযানের মাধ্যমে চাঁদের সফল অবরতণ, অন্যদিকে ধরিত্রীর ভেতর জটিল অপারেশন চালিয়ে উত্তরকাশীতে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনা। কোনও কিছুতেই আটকাতে পারেনি অনুকূল পরিবেশ। খেলার মাঠেও চমক দেখিয়েছে ভারত। প্রথমবার মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়- বারবার সগর্বে উড়েছে তেরঙ্গা।


এতো গেল ভারত বিজয়ের ঝটিকা বার্তা। এবার চলুন দেখা যাক ২০২৩-এ আর কী কী কারণে ভারত নক্ষত্র উজ্জ্বল সফলতার গগনে।

১। চন্দ্রযানের সফল অবতরণ: দীর্ঘদিন ধরেই চাঁদ নিয়ে গবেষণা হলেও, তার দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত কেউ পৌঁছতে পারেনি। ইতিহাসে প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের কঠিনতম অঞ্চল দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। সফলভাবে চাঁদের মাটিতে কাজ করেছে ইসরোর তৈরি ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতেও পড়েছে তেরঙ্গার ছাপ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাঁদ থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছে ভারতের চন্দ্রযান। এই অভিযানের ফলে মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা হয়েছে ভারতের নাম।

২। প্রথমবার জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন: ২০২৩ সালে প্রথমবার ভারতে বসেছে জি ২০ সম্মেলনের আসর। দিল্লিতে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে মহাগুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাপত্র। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে সেদেশের ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালানো- একাধিক বিষয়ের নিন্দা করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি এই ঘোষণাপত্রে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই ঘোষণাপত্রকে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলেই মনে করা হয়েছে।

৩।  নীরজের সোনা: প্রথম ভারতীয় হিসাবে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড মিটে সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। চূড়ান্ত পর্বের মেগা ফাইনালে ৮৮.১৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে ইতিহাস গড়লেন টোকিও অলিম্পিকে ‘সোনার ছেলে’। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সোনা জিতলেন তিনি। এশিয়ান গেমসেও জারি ছিল তাঁর সোনালি সফর। সেখানেও সোনার পদক উঠেছিল তাঁর গলায়।

৪। অস্কার মুকুট : বেস্ট অরিজিনাল সং হিসাবে অস্কার পেয়েছে ভারতের নাটু নাটু। গোল্ডেন গ্লোবের মতো সম্মানও গিয়েছে জনপ্রিয় গানটির ঝুলিতে। এম এম কীরাবাণীর সুরে আর আর আর ছবির গানটি জনপ্রিয় হয়েছে গোটা দুনিয়ায়। বিদেশি খেলোয়াড় থেকে রাজনীতিবিদ, সকলেই মেতে উঠেছেন নাটু নাটুর ছন্দে।

৫। এশিয়ান গেমসে পদকের সেঞ্চুরি: এশিয়ান গেমসে এ বারের স্লোগান ছিল, ‘ইস বার ১০০ পার’। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই ২০২৩ এশিয়ান গেমসে ১০০ পদক ছুঁয়ে ফেলে ভারত। এশিয়ান গেমসে এটাই ভারতের সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স। আগে কোনওদিন ৮০র বেশি পদক পায়নি ভারতীয় কনটিনজেন্ট। সবমিলিয়ে চিনের হাংঝৌ থেকে ১০৭ পদক নিয়ে ফিরেছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। এশিয়ান প্যারা গেমসেও সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স করেছেন ভারতীয়রা।

৬। শান্তিনিকেতনকে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর : তাজমহল, অজন্তা-ইলোরার গুহার সঙ্গে একাসনে বসেছে বাংলার শান্তিনিকেতন। ২০২৩ সালেই বোলপুরের শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দেয় রাষ্ট্রসংঘের শাখা সংগঠন। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার ফলক বসানো নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। শেষ পর্যন্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম লিখে ফলক বসানো হয় শান্তিনিকেতনে।

৭। বিশ্বক্রিকেটে দাপট ভারতীয় মহিলাদের: প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট। জানুয়ারি মাসে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতেন রিচা ঘোষ-শেফালি ভার্মারা। তার পরে এশিয়া কাপেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন হরমনপ্রীত কৌররা। বছরের শেষ দিকে এশিয়ান গেমসেও সোনা জেতেন মহিলা ক্রিকেটাররা। প্রথমবার এশিয়ান গেমসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল মহিলাদের ক্রিকেট। সেখানেই সেরার শিরোপা ভারতের নারী ব্রিগেডের মাথায়।

৮। উত্তরকাশীর উদ্ধার অভিযান: চার ধাম প্রকল্পে সুড়ঙ্গ কাটতে গিয়ে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। ধস নেমে পাথরের স্তূপের তলায় চাপা পড়ে থাকেন দীর্ঘ ১৬ দিন। অগার যন্ত্র থেকে শুরু করে বিদেশি সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ- সবকিছু ব্যবহার করা হলেও শেষ পর্যন্ত কাজে আসে নিষিদ্ধ র‍্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতি। ইঁদুরের গর্ত খোঁড়ার কায়দায় সুড়ঙ্গ কেটে বের করে আনা হয় ৪১ শ্রমিককে। ১৬ দিনের দীর্ঘ লড়াইয়ের এই অধ্যায় ভারতের ইতিহাসে সোনালি অক্ষরে জায়গা করে নিয়েছে।

৯। ভারতেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমান তেজস : প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চলতি বছরে ঐতিহাসিক সাফল্য ভারতের। বহুদিন ধরেই আমেরিকা থেকে তেজস যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রযুক্তি চেয়েছিল ভারত। জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরেই স্বাক্ষরিত হয় প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তি। এতদিন পর্যন্ত ফাইটার জেট তেজসের বাকি অংশ ভারত তৈরি করলেও ইঞ্জিন তৈরি হত আমেরিকায়। কিন্তু মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক ও হিন্দুস্তান এয়ারোনটিক্স লিমিটেডের মধ্যে চুক্তির পর থেকে ইঞ্জিন-সহ গোটা যুদ্ধবিমানই তৈরি হচ্ছে ভারতে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস বিমানে চাপেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও।

১০। বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ এখন ভারত। চিনকে পিছনে ফেলে এ বছর এপ্রিল মাসে এই শিরোপা গিয়েছে ভারতের মাথায় ।

১১। মোহনবাগানের আইএসএল জয়: প্রথমবার আইএসএল জিতেছে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ক্লাব মোহনবাগান। টানটান ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটের মাধ্যমে ট্রফি ছিনিয়ে নেয় সবুজ-মেরুন জার্সিধারীরা। ফাইনালে বাগানের বারের নীচ বিশাল কাইথের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ওঠে। বেঙ্গালুরুকে মাটি ধরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সমর্থকদের আবেদন মেনে ক্লাবের নাম থেকে ‘এটিকে’ সরিয়ে নেওয়া হয়।

১২। প্রথমেই উল্লেখ করা দরকার নতুন সংসদ ভবনের কথা। এবছর সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছিল পুরনো সংসদ ভবনে। শেষ হয়েছে নতুন সংসদ ভবনে। গত ২৮ মে উদ্বোধন হয়েছে নয়া সংসদ ভবনের। প্রধানমন্ত্রী নমোর কথা, নতুন সংসদ ভবন ‘আত্মনির্ভর ভারতের সূর্যোদয়ের সাক্ষী’। মাত্র আড়াই বছরে তৈরি হওয়া এই নয়া সংসদ ভবন, ১৪০ কোটি দেশবাসীর আকাক্ষ্মার প্রতীক বলে জানিয়েছিলেন নমো।

১৩। বিরোধী শিবিরে ২০২৩ সালের সবথেকে নজরকাড়া মোড় ছিল সব বিরোধী দলগুলির এক ছাতার তলায় আসা। তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, আম আদমি পার্টি… সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠকও হয়ে গিয়েছে তাঁদের। তৈরি হচ্ছে চব্বিশের লোকসভা ভোটের ব্লু-প্রিন্ট।

———–

এবার আসা যাক বিনোদন জগতের হাড়ির খবর। ২০২৩ বেশ কিছু সেলিব্রেটি গাঁটছড়া বেঁধেছেন। শুরু করেছেন নতুন জীবন। তাদের তালিকায় যেমন আছেন রাঘব-পরিণীতি আবার রয়েছেন কিয়ারা আডবাণী- সিদ্ধার্থ মালহোত্রাও। আবার কিছু সেলেব আছেন যারা তৃতীয়-চতুর্থবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন যেমন আরবাজ-সূরা। আর যারা আছেন জানি তাদের কথাও। 

রাঘব চাড্ডা- পরিণীতি চোপড়া

অবশেষে ভালোবেসে শুভ পরিণয়। ২৪ সেপ্টেম্বর পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাক্ষী রেখেই চার হাত এক হয় রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার। উদয়পুরের তাজ প্যালেসে পাঞ্জাবি রীতি মেনে মনের মানুষ রাঘবের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন পরিণীতি। মনীশের ব্রাইডাল লেহেঙ্গাতেই সেজেছিলেন পরিণীতি। বিয়ের পর জুটিকে ‘রাঘনীতি’ নামেই ডাকতে শুরু করল অনুরাগীরা।

কে এল রাহুল- আথিয়া শেট্টি

২৩ জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আথিয়া শেট্টি ও কে এল রাহুল। সুনীল শেট্টির খান্ডালার বাংলো জাঁহাতেই রাহুলের গলায় মালা দিলেন আথিয়া শেট্টি। ২০১৯ সালে একে অপরকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন রাহুল ও আথিয়া। নিজেরা কখনও ভালবাসার কথা স্বীকার না করলেও তাঁদের ডেটিংয়ের নানা ছবি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই ছিমছাম অনুষ্ঠানে বিয়ে সারলেন রাহুল ও আথিয়া।

স্বরা ভাস্কর- ফাহাদ আহমদ

স্বরা ভাস্কর ও ফাহাদ আহমদের স্পেশ্যাল অ্য়াক্টে রেজিস্ট্রার হয় জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ। ১৬ তারিখ বিয়ে সারেন স্বরা। একেবারেই নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে চার হাত এক হয় স্বরা ও ফাহাদের। এখন তো তাঁদের সংসারে এসেছে নতুন সদস্য। ২৩ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীর কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। ফাহাদ ও তাঁর পছন্দেই মেয়ের নাম রাবেয়া রাখা হয়েছে।

পরমব্রত-পিয়া চক্রবর্তী
২৭ নভেম্বর টুক করে বিয়ে সেরে ফেললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী তথা সমাজকর্মী পিয়া, পরমের ঘরনি হওয়ায় হইচই পড়ে যায় টলিপাড়ায়। সোশাল মিডিয়ায় জুড়ে তুমি অন্য কারও সঙ্গে বেঁধো গানের ব্যবহার করে পরম-পিয়া-অনুপমকে ঘিরে ট্রোল। তবে এসব বিতর্ককে পাশে রেখে পরম-পিয়া দিব্যি রয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের নিয়ে পার্টিও করলেন পরম-পিয়া।

কিয়ারা আডবাণী- সিদ্ধার্থ মালহোত্রা

সিনেপর্দার শেরশাহ জুটি, বাস্তবে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন। এলাহী বিয়ের অনুষ্ঠান যেন রূপকথা। ৭ ফেব্রুয়ারি জয়সলমেরের সূর্যগড় প্যালেসে চার হাত এক হয় সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আর কিয়ারা আডবাণীর। হালকা গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরে বধূবেশ ধারণ করেছিলেন কিয়ারা। সিদ্ধার্থের পরনে ছিল ক্রিম রঙের শেরওয়ানি। ভালবাসার চুম্বনেই অঙ্গীকারবদ্ধ হন দু’জন। সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়ে ওটিটিতে বিক্রি হয়েছে ৮০ কোটি টাকায়।

সন্দীপ্তা-সৌম্য

৭ ডিসেম্বর বহুদিনের প্রেমিক সৌম্যর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সন্দীপ্তা সেন। বৈদিক মতেই বিয়ে হয় সন্দীপ্তা ও সৌম্যর। মেজেন্টা রঙের বেনারসি পড়েই বিয়ে সারেন সন্দীপ্তা। সৌম্যর পোশাকেও গোলাপি রঙের ছোঁয়া।

দর্শনা-সৌরভ

১৫ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েন দর্শনা বণিক ও সৌরভ দাস। শেষমেশ, বউ ঘরে তুলল টলিউডের মন্টু পাইলট। ভিন্টেজ রোলস রয়্যালসে চেপে বউকে নিয়ে বাড়ি গেলেন সৌরভ। গোটা শহর দেখল সেই দৃশ্য। বিয়ের অনুষ্ঠানেও এলাহী আয়োজন।

প্রীতম কোটাল-সুনেলা পাল

১৭ এপ্রিল। অবশেষে এসেছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। বালি গার্ডেনে গঙ্গার ধারে বসে ছিল বিয়ের আসর।

পাত্রীটির সঙ্গে আগেই সমর্থকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন খোদ প্রীতম। চলতি বছর আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই প্রেমিকা সোনেলা পালকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রীতম। মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে আংটি হাতে সোনেলার সঙ্গে নতুন জীবন কাটানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বাগান অধিনায়ক। যাতে হাসি মুখে রাজি হয়ে যান প্রেমিকাও। তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ভিডিও। প্রীতমের হবু স্ত্রীর পরিচয় জেনেছিলেন সকলে। এপ্রিল মাসে তাঁর সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ভারতীয় ফুটবলার।

মিষ্টি সিং- রেমো দাস

১৮ মে বাইপাস সংলগ্ন এক বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের আসর বসেছিল মিষ্টির। পাত্র রেমো রিয়েল এস্টেস্টের ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থাও রয়েছে। বিয়ের কয়েক দিন পর হানিমুনে ইউরোপ ট্রিপেও গিয়েছিলেন মিষ্টি ও রেমো। মিষ্টি ও রেমোর এখন সুখের সংসার।

———————–

তবে কিছু এমন ঘটনাও আছে যা একটু ব্যথা দিলেও যার স্মৃতি হাতড়ে দেখা ভীষণ জরুরি

খারাপ লাগা

৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে লাগাতার রকেট হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী। সীমান্তে পেরিয়ে এসে শতাধিক ইজরায়েলীয়কে বন্দিও বানায়। এর পর অশান্ত হয়ে ওঠে মধ্য প্রাচ্য। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামলা শুরু করে ইজরায়েল সেনা। এখনও সেই যুদ্ধ বন্ধ হয়নি।

সমকামী বিবাহে স্বীকৃতির দাবিতে একাধিক মামলার শুনানি এ বছর হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। কিন্তু এই বিবাহে স্বীকৃতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্টে। স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি দেশের আইনসভার হাতেই ছেড়ে দিয়েছে আদালত।

ক্যাশ ফর কোয়ারি বিতর্কে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সংসদে প্রশ্ন তোলার জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সংসদীয় এথিক্স কমিটির রিপোর্টে, তাঁকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়। মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিরোধীরা তুমুল সমালোচনা করেছিল। কংগ্রেসকেও পাশে পেয়েছিলেন মহুয়া।

রং বোমা হামলা : শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই দুই যুবকের রং বোমা হামলায় কেঁপে ওঠে গোটা নতুন সংসদ ভবন। ২২ বছরের স্মৃতি উস্কে ফের সেই ১৩ ডিসেম্বর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি গোটা দেশকে ফের একবার উত্তাল করে দেয়।

আশা জাগিয়েও হয়নি বিশ্বকাপ জয়। ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় রোহিত বাহিনী। এ বছর ১৯ নভেম্বর ভারতবাসীর কাছে হৃদয়বঙ্গের দিন।