দিল্লি, ৭ ডিসেম্বর – গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে এক ভারতীয়দের দিকে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই কর্তা ক্রিস্টোফার এ রে ভারতে আসছেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা দীনকর গুপ্তার সঙ্গে ১১ ও ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে বৈঠক করবেন তিনি।
এদিকে, কানাডার বাসিন্দা আর এক খালিস্তানি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডেও ভারতীয় এজেন্টের যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছে সে দেশের সরকার। গতমাসে আমেরিকা পান্নুন হত্যায় ভারতীয় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে। এদিকে নরেন্দ্র মোদি সরকার দুই বিদেশি রাষ্ট্রের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সিপিএম সাংসদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমেরিকা ও কানাডার অভিযোগকে ভারত একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছে না। আমেরিকা তাদের অভিযোগের সঙ্গে কিছু তথ্যপ্রমাণ দিয়েছে। ভারত সরকার সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কিন্তু কানাডা শুধুই অভিযোগ করেছে, কিন্তু প্রমাণ দেয়নি। যদিও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দাবি, নিজ্জর হত্যায় তাঁর দেশের গোয়েন্দা কর্তাদের তদন্ত রিপোর্ট ভারত সরকারকে দেওয়া হয়েছে।
গত মাসে পান্নুনকে নিয়ে আমেরিকার অভিযোগটি সামনে আসে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। যদিও আমেরিকা প্রথম এই ব্যাপারে নীরব ছিল।সূত্রের খবর, ঘটনাটি এ বছর জুনের হলেও মার্কিন প্রশাসন প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে মুখ খোলেনি। সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দিল্লি এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পান্নুন হত্যা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে এই প্রসঙ্গ তোলেননি।
গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিঙ্কেনও দিল্লি সফরের সময় প্রসঙ্গটি তোলেন। তখনও মার্কিন কর্তারা এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। দিল্লির মার্কিন অভিযোগকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার সেটিও একটি কারণ হতে পারে। তাছাড়া আমেরিকা স্পষ্ট করে দিয়েছে পান্নুন হত্যা ষড়যন্ত্র ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও রেখাপাত করবে না।