পটনা, ১৮ অক্টোবর– ধর্ষণে অভিযুক্ত ছেলেকে শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতে এক পিতার কান্ড দেখে অবাক আদালতও। প্রথমে ছেলেকে মেরে তারপর তার চিতা সাজিয়ে ফেললেন বাবা। সেই ছবি দেখে ধর্ষণের সেই মামলাও বন্ধ করে দিল আদালত। কিন্তু ধর্ষিতার মায়ের চেষ্টায় আসল সত্য সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ থেকে আদালতের।
ঘটনা ২০১৮ সালের। স্থান বিহারের ভাগলপুর। স্কুলের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল নীরজ মোদি নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলাও রুজু হয়। মামলা দায়ের হতেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করেন নীরজ। পুলিশ যখন খুঁজে খুঁজে হয়রান, নীরজের বাবা রাজারাম মোদী ছেলের মৃত্যুর প্রমাণ নিয়ে পুলিশের কাছে হাজির হন। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মৃত্যুর শংসাপত্র এবং চিতায় সাজানো ছেলের ছবি।
আদালতও সেই ছবি এবং শংসাপত্র দেখে বিষয়টি বিশ্বাস করে এবং মামলাটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। ফলে ২০১৮ সালেই বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। সন্দেহ হয় নাবালিকার মায়ের। তিনি নিজেও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। আর তাতেই জানা যায় অভিযুক্তের মৃত্যু হয়নি। তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার পরই নাবালিকার মা ফের পুলিশ এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। আর এখান থেকেই ঘটনার মোড় নেয়। যা জানতে পেরে হতভম্ব হয়ে গিয়েছে পুলিশ থেকে আদালত।
গত ২১ মে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বাবা এবং ছেলের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা রুজু হয়। সে দিনই অভিযুক্তের বাবা রাজারামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনার পরেও পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত নীরজ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ ১৭ অক্টোবর, সোমবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। গ্রেফতার করা হয়েছে নীরজকে।