দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর– সেনাবাহিনকে অসম্মান করার প্রসঙ্গ তুলে এবার রাহুল গান্ধিকে কংগ্রেস থেকে তাড়ানোর দাবি তুলল বিজেপি। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। অরুণাচলপ্রদেশে ভারত-চিন সীমান্তে দু’দেশের সেনাবাহিনীর সংঘাত নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি । তা নিয়ে শনিবার রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি । গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, দেশের সেনাবাহিনীকে যদি কংগ্রেস ন্যূনতম সম্মান করে তাহলে রাহুল গান্ধিকে তারা পার্টি থেকে বহিষ্কার করুক।
বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে এদিন বলেন, ‘মল্লিকার্জুন খাড়গে যদি গান্ধি পরিবারের রিমোট কন্ট্রোলে চালিত না হন, প্রধান বিরোধী দল যদি দেশ ও সেনাবাহিনীর পাশে থাকে তাহলে এখনই কংগ্রেস রাহুল গান্ধিকে দল থেকে তাড়াক।’
এখানেই থামেননি গৌরব। তাঁর কথায়, কংগ্রেস যদি রাহুল গান্ধিকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাবে পরিবারতন্ত্রেই ঢুকে রয়েছে দলটি। সভাপতি বদল হলেও মনোভাব বদলায়নি। সাংবাদিকদের বিজেপি মুখপাত্র আরও বলেন, ‘কংগ্রেস এখন রাজনৈতিক দলের তুলনায় ভারত-বিরোধী কাজকর্মের গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।’
শুক্রবার ভারতজোড়ো যাত্রার শেষে রাজস্থানে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল। সেখানেই তিনি বলেন, ‘চিন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ভারত সরকার নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে। আমাদের সেনারা ওদের লালফৌজের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু সেই পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করছে সরকার।’
বিজেপির বক্তব্য, এ হেন বক্তব্য আসলে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার কৌশল। পাল্টা অবশ্য কংগ্রেসও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তরুণ কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বলেছেন, বিজেপি মনে করে তাঁদের বিরোধিতা, তাদের সরকারের সমালোচনা মানেই দেশের বিরোধিতা। সরকার আর দেশ যে এক নয় সেটা ওরা সচেতনভাবে গুলিয়ে দিতে চায়। আসলে রাহুল গান্ধী যা বলেছেন তাতে সীমান্ত লাগোয়া ভূখণ্ড রক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতা বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। তাই এইসব কথা বলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।