জানা গিয়েছে, এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করেন মহম্মদ সমীর রাও নামে এক ব্যক্তি। আগে তাঁর নাম ছিল শাহনওয়াজ। কিন্তু ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নিজের নাম পালটে ফেলেন তিনি। তারপরেই রাজ্যের মধ্যশিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন করেন, বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেটে যেন তাঁর নাম পালটে দেওয়া হয়। কারণ ২০১৩ ও ২০১৫ সালে বোর্ড পরীক্ষা পাশ করেছিলেন তিনি। সেই সময়ে সার্টিফিকেটে তাঁর নাম ছিল শাহনওয়াজ।
কিন্তু সমীরের আবেদন বাতিল করে দেয় উত্তরপ্রদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ। বোর্ডের দাবি, পরীক্ষায় পাশ করার তিন বছরের মধ্যেই সার্টিফিকেটে নাম বদলের আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে পাশ করার সাত বছরেরও বেশি সময় পরে আবেদন করেছেন সমীর। সেই জন্যই তাঁর আবেদন মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের এই মতকে খারিজ করে দিয়েছেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি।
আদালতের মতে, সংবিধানে বর্ণিত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে নামবদলের বিষয়টি। নিজের নাম ঠিক করার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। শিক্ষা দপ্তর জোর করেই সমীরের আবেদন বাতিল করেছে। ফলে বাকস্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকারের মতো একাধিক নিয়ম ভেঙেছে দপ্তর। সমীরের আবেদন মেনে নিয়ে তাঁর সার্টিফিকেটে নাম বদলাতে হবে বলেও আদেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্ট।