বেঙ্গালুরু, ৬ ফেব্রুয়ারি– বিয়ের পরও বাবা-মায়ের জাতি পরিচয় ব্যবহার করে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুবিধাও পাবেন মেয়েরা। এমনটাই কড়া রায় দিল কর্ণাটক হাই কোর্ট । বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানান, সরকারি চাকরির পরীক্ষার আবেদনপত্রে মহিলারা বাবা-মায়ের জাতি পরিচয় দিলে, সেই অনুযায়ী সংরক্ষণের সুবিধার বিষয়ে বিবেচনা করতেই হবে সরকারকে। হাই কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে শোরগোল শুরু হয়েছে কর্ণাটকে।
ঘটনার সূত্রপাত কর্নাটকের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। যেখানে বহু বিবাহিত মহিলা সংরক্ষণের সুবিধা পেতে স্বামীর বদলে বাবা-মায়ের জাতি পরিচয় দেন। আর এই কারণেই ওই আবেদনগুলিকে বাতিল করে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তারা সাফ জানায়, যেহেতু আবেদনকারীরা ইতিমধ্যে বিবাহিত, অতএব তাঁদের স্বামীর জাতি পরিচয়ই বিবেচনা করা হবে। যদিও সরকারের এই যুক্তি মানতে চাননি বহু মহিলা আবেদনকারী। এর পর তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন।
২১ জন বিবাহিত মহিলা চাকরিপ্রার্থী কর্ণাটক হাই কোর্টে সরকারি সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বাবা-মায়ের জাতি পরিচয়ে ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রার্থী। অন্যদিকে বিয়ের পর তাঁরা সাধারণ প্রার্থী হন। এই মামলায় মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িেয়ছে আদালত। গত সপ্তাহে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মামলকারীদের সকলকে বিবাহপূর্ব জাতি মোতাবেক সংরক্ষণের সুযোগ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে জাতিগত এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ইচ্ছার উপরই নির্ভর করছে, অর্থাৎ তাঁরা মনে করলে নতুন জাতি পরিচয়ও ব্যবহার করতে পারেন, জানিয়েছেন বিচারপতি।