মহুয়ার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ নিশিকান্তর
দিল্লি, ২৮ অক্টোবর– এর আগে ৩১ অক্টোবর মহুয়াকে তলব করেছিল এথিক্স কমিটি৷ সে দিন যেতে পারছেন না বলে জানান তৃণমূল সাংসদ৷ মহুয়া চিঠিতে লিখেছিলেন, ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় বিজয় সম্মেলন রয়েছে৷ সেগুলি সব আগে থেকে ঠিক করা৷ তাঁকে সেখানে উপস্থিত থাকতেই হবে৷ তাই তিনি ৩১ তারিখ দিল্লিতে থাকতে পারছেন না৷ ৫ নভেম্বরের পর তাঁকে কমিটির সুবিধা অনুযায়ী যে কোনও দিন, যে কোনও সময় ডাকা হলে তিনি হাজির হবেন৷ ওই চিঠিতে মহুয়া এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য কমিটির সামনে বলতে আগ্রহী৷ কিন্তু এথিক্স কমিটি সেই কথা না মেনে ফের দ্বিতীয়বার তাকে চিঠি পাঠিয়ে তলব করল৷
অন্যদিকে, ফের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করে বিজেপির এমপি নিশিকান্ত দুবে তার এক্স হ্যান্ডেলে তাকে ‘দুবাই দিদি’ বলে কটাক্ষ করেন৷ নিশিকান্ত দুবে মহুয়ার বিরুদ্ধে লেখেন, ‘আপনি টাকার কাছে বিবেক বিক্রি করেছেন৷’ শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলেই মহুয়াকে দুবাই দিদি বলে উল্লেখ করে ফের আক্রমণ করেছেন৷ নিশিকান্তই লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা, উপহার নিয়েছেন মহুয়া৷ বিনিময়ে ওই শিল্পপতির স্বার্থে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন করতেন৷ এমনকী শিল্পপতি হীরানন্দানি যাতে সরাসরি প্রশ্ন পেশ করতে পারেন, সেজন্য সংসদের পোর্টালের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ডও তাঁকে দেন মহুয়া৷
নিশিকান্তর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি৷ সেই কমিটি গোড্ডার সাংসদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার পর ৩১ অক্টোবর মহুয়াকে তলব করে৷ তবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ ওই দিন যেতে পারবেন না বলে শুক্রবার এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন৷ তিনি নিজের সংসদীয় এলাকায় ব্যস্ত থাকবেন বলে এই সিদ্ধান্ত৷ ৫ নভেম্বর থেকে যে কোনও দিন হাজিরা দিতে প্রস্তুত জানিয়েছেন মহুয়া৷সেই চিঠি নিয়েও নিশিকান্ত নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদকে৷ বিজেপি সাংসদের দাবি, চিঠিতে মহুয়া তাঁর দুবে পদবির জায়গায় দুবাই লিখেছেন৷ নিশিকান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, অভিযুক্ত সাংসদ দুবাই নিয়ে এতটাই মত্ত যে, এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে আমার নামও বদলে দুবাই লিখেছেন৷ এতে তাঁর মানসিক অবস্থা প্রতিফলিত হয়৷ শুক্রবারই এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে মহুয়া লিখেছেন তিনি সমস্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে কমিটির সামনে হাজির হবেন৷ তিনি চান কমিটির সামনে শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে৷ মহুয়ার কথায় শুধুমাত্র এই শিল্পপতির মুখের কথার ভিত্তিতে তদন্ত শেষ হতে পারে না৷ তাঁকেও কমিটির ডাকা উচিত৷ একই সঙ্গে তৃণমূল এমপি লিখেছেন, আমি সংসদে সর্বদা সরব৷ আমি কর্পোরেট কোম্পানির অনাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি৷ দেশের গণতান্ত্রিক আদর্শকে বিবেচনায় রেখে আমাকে আমার কথা বলতে দেওয়া, নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ দেওয়া দরকার৷ এই বিষয়ে নিশিকান্তর মন্তব্য, সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও সুযোগ নেই৷