ওটায়া, ২৯ মে– সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের এক দল বিজ্ঞানীর তৈরি একই মস্তিষ্ক-সঞ্চালন যন্ত্র ও তার কেরামতি। দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এক যুবক। সুইস যন্ত্রের সাহায্যে প্রায় ১০ বছর পরে উঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি। হাঁটতেও শুরু করেছেন। শুধু সুইস বিজ্ঞানীরাই নন, প্রযুক্তির বিপ্লব চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন ইলন মাস্কও। তাঁর নতুন ‘স্টার্ট আপ’। নাম ‘নিউরোলিঙ্ক’। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মস্তিষ্ক, স্নায়ু ও পেশিকে নতুন করে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে ‘নিউরোলিঙ্ক’।
ব্যবসায়িক ভাবে ‘ব্রেন-ইমপ্ল্যান্ট’ করবে এই সংস্থা। মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল)-র অনুমতি দিয়েছে আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)। সংস্থাটি একটি বিশেষ যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করছে, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের মস্তিষ্কের সাহায্যে কম্পিউটার ইন্টারফেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। চিকিৎসাক্ষেত্রে যা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে ভবিষ্যতে। নিউরোলিঙ্কের ব্যাখ্যা, এই যন্ত্রের সাহায্যে কোনও ব্যক্তির হারানো দৃষ্টি ফিরতে পারে। হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা কোনও ব্যক্তি নতুন করে হাঁটতে পারবেন।
ব্রেন-ইমপ্ল্যান্ট নিয়ে কাজ করার জন্য একাধিক ক্লিনিক খোলার পরিকল্পনা রয়েছে ইলন মাস্কের। সার্জিক্যাল রোবটের সাহায্যে রোগীদের মস্তিষ্কে যন্ত্রটি প্রতিস্থাপন করা হবে। অর্থাৎ যন্ত্রের সাহায্যেই মস্তিষ্কের সংবেদন রেকর্ড করতে পারে এমন যান্ত্রিক ব্যবস্থা বসানো হবে মানবশরীরে।