লোকসভার নির্ঘণ্ট এপ্রিলেই, ঘোষণা মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে, গণনা আগের মতো মে মাসে

দিল্লি, ১৪ এপ্রিল– লোকসভা ভোট নির্ঘণ্ট নিয়ে জল্পনার অবসান৷ লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার ব্যাপারে গত কয়েক মাস ধরে অনেক জল্পনা চলেছিল সর্বভারতীয় রাজনীতিতে৷ এমনকী গেরুয়া শিবিরের নেতা মন্ত্রীরাও এই জল্পনা উস্কে দেন যে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভারও ভোটও হবে৷ কিন্ত্ত সেই সব জল্পনার ইতি ঘটিয়ে লোকসভার ভোট  যথাসময়েই করার সিদ্ধান্ত হতে চলেছে৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোনও অঘটন না ঘটলে এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন৷ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের মতই সাত বা আটটি দফায় ভোটগ্রহণ হতে পারে৷
ভোট যেহেতু যথাসময়ে অর্থাৎ এপ্রিলে হওয়াই ঠিক তাই নিয়মমত ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ৩০ দিন থেকে ৪৫ দিন আগে অর্থাৎ এবারও সম্ভবত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন মু্খ্য নির্বাচন কমিশনার৷ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ মার্চ৷ তার পর ১১ এপ্রিল থেকে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছিল৷ সাত দফার নির্বাচনের শেষ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল ১৯ মে৷ তার পর ২৩ মে ভোটের গণনা হয়েছিল৷ লোকসভা ভোটের আগেই সমস্ত বোর্ডের পরীক্ষা শেষ করে ফেলার কথা৷ বাংলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে যাবে ফেব্রুয়ারি মাসে৷ ২ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা৷ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও ২৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে৷ কদিন আগে সিবিএসই-ও জানিয়ে দিয়েছে তাদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য বোর্ডের পরীক্ষা ২ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে৷
প্রতিবার ভোটে যে সমস্ত সাধারণ নিয়ম-কানুন থাকে তা এবারও একই থাকছে বলে খবর৷ তবে ভোট যদি ভোট এগিয়ে আনা হয় তবে সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের ও রাজনৈতিক দলগুলিতে প্রচারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে৷ কারণ মার্চ থেকে এপ্রিলের প্রথম দিক পর্যন্ত সাধারণত নানান পরীক্ষা চলাকালীন লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না৷ তাই দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে ভোট গ্রহণ শুরু করা সম্ভব নয়৷ সেক্ষেত্রে মার্চ মাসের ১০-১২ তারিখ নাগাদ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে৷
তবে ভোট প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কমিশন তরফে৷ লোকসভা ভোট নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন৷ জানুয়ারি মাসে আপডেটেড ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ তার ভিত্তিতেই হবে ভোটগ্রহণ৷লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রের সরকারও প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে৷ সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ২২ ডিসেম্বর শেষ হবে৷ তার পর জানুয়ারি মাসের শেষে ফের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে৷ এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে পারবে না নরেন্দ্র মোদি সরকার৷