দিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর– আগেই মা সনিয়া এবং দাদা রাহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ প্রাক্তন দুই কংগ্রেস সভাপতিকে কয়েক দফা জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা৷ গান্ধি পরিবারের জামাই অর্থাৎ প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট ভদ্রার বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরেই ইডি তদন্ত চালাচ্ছে৷ এবার জমি কেনাবেচায় বেআইনি লেনদেনের মামলায় চার্জশিটে নাম উঠল সনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কারও৷ ফলে গোটা গান্ধি পরিবারের নামই উঠে তাদন্তকারী ইডির তালিকায়৷
হরিয়ানায় জমি কেনা নিয়ে বেআইনি উপায়ে অর্থ লেনদেন এবং এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে রবার্টের বিরুদ্ধে নভেম্বর মাসে অতিরিক্তি চার্জশিট পেশ করেছে ইডি৷ সেই মামলাতেই ইডি প্রিয়ঙ্কার নামও জুডে়ছে৷ চার্জশিটে বলা হয়েছে, হরিয়ানায় প্রিয়ঙ্কার নামেও চার একর জমি কেনা হয়েছিল৷ সেই কেনাবেচাতেও বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেন হয়েছে৷
প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ কতটা গুরুতর তা এখনও স্পষ্ট না হলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অভিযোগ ছোট বা বড় যাই হোক না কেন, এর রাজনৈতিক অভিঘাত গান্ধি পরিবারের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে যা কংগ্রেসের বিপদ বাডি়য়ে তুলবে৷
ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের একদা মুখপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি নিয়ে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে সনিয়া ও রাহুলকে দফায় দফায় জেরা করেছে ইডি৷ গত মাসে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সাডে় সাতশো কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷
জমির মামলায় রবার্টকেও একাধিকবার তলব করে ইডি৷ স্বামী, মা ও দাদাকে এতদিন প্রিয়ঙ্কাই গাডি় চালিয়ে ইডি অফিসে দিয়ে এসেছেন৷ এবার চার্জশিটে নাম থাকায় যে কোনও দিন তাঁকেও তলব করতে পারে তদন্তকারী সংস্থাটি৷
স্বভাবতই চিন্তা বাড়ল হাত শিবিরের৷ সদ্যই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংগঠনিক পরিবর্তনে প্রিয়ঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন৷ দলীয় সূত্রে খবর, দলের এই সাধারণ সম্পাদককে লোকসভা ভোটের প্রচারে বেশি করে ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে৷ দলের একটি অংশ চায় প্রিয়ঙ্কাকে প্রচারে প্রধানমন্ত্রীকে ধাওয়া করার কাজে ব্যবহার করা হোক৷ মোদীর অভিযোগের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে নিশানা করবেন কংগ্রেস নেত্রী৷ আর একটি অংশ চায় সনিয়া কন্যা বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামুন৷