• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অনুব্রত মন্ডলের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি 

দিল্লি, ২৪ মে  – গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। সব মিলিয়ে মোট ১১ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মোট ২৫টি অ্যাকাউন্টের টাকা অ্যাটাচ করা হয়েছে বলে জানা গেছে । শুধু অনুব্রতর নয়, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি বীরভূমের তৃণমূল

দিল্লি, ২৪ মে  – গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। সব মিলিয়ে মোট ১১ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মোট ২৫টি অ্যাকাউন্টের টাকা অ্যাটাচ করা হয়েছে বলে জানা গেছে । শুধু অনুব্রতর নয়, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারির ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত সূত্রে একাধিকবার আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে এসেছে অনুব্রত মণ্ডল গত কয়েক বছর ধরে নামে-বেনামে বিপুল টাকার সম্পত্তি করেছেন। সেসব সম্পত্তির কোনটি তাঁর নামে, কোনটি প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে, কোনটি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে। বুধবার ইডি অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী ও  মেয়ের নামে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ।

এই বিপুল অঙ্কের টাকার পুরোটাই গরু পাচারের কালো টাকা বলে সন্দেহ করেছিল ইডি। সেই টাকার একাংশ বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইডির তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নিয়ম অনুযায়ী সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট করা হয়। অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ কোঠারির সম্পত্তি প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্টের কথা আগের জমা দেওয়া চার্জশিটেই উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই সম্পত্তি পুরোপুরি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইডি। এই সম্পত্তি যে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রমাণ দিয়েছে ইডি এবং প্রসিড অব ক্রাইম হিসেবে এই সম্পত্তি অ্যাটাচ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

তাহলে কি এবার দেউলিয়া হলেন অনুব্রত মণ্ডল? পর্যবেক্ষকদের অনুমান,  এই বিপুল পরিমান সম্পত্তি অ্যাটাচ করার পরে আরও সম্পত্তি থাকতে পারে। সেইসব সম্পত্তির খোঁজে তদন্ত করছেন ইডির অফিসাররা। বিশেষ করে অনুব্রতর আত্মীয় পরিচিতদের সম্পত্তিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর ।

অনুব্রত এখন তিহাড় জেলে বন্দি । বুধবার তাঁর জামিনের শুনানি আরও পিছিয়েছে। ১০ জুলাই হবে সেই শুনানি। সুকন্যার জামিনের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৯ অগস্ট। জেলে থাকা অবস্থাতেই কয়েকদিন আগে অনুব্রত আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের একটি অ্যাকাউন্ট যাতে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। নইলে সেখানকার কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। কিন্তু সমস্ত সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করে নিল ইডি।

এর আগে সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এবার ইডি করল প্রায় ১১ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সিবিআই ও ইডি অনুব্রতর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় কার্যত দেউলিয়া হয়ে গেলেন অনুব্রত। বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়ি অনুব্রতর পৈতৃকবাড়ি। সেই বাড়ি ছাড়া আর কিছুই রইল না অনুব্রতর। এই খবর শোনার পর জেলবন্দি অনুব্রত ও সুকন্যাকে আরও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ইডি সূত্রে খবর, মোট ১১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতে রয়েছে, বোলপুরের বিভিন্ন মৌজায় থাকা বিপুল পরিমাণ জমি, শিব শম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস-মিল সহ আরও অনেকসম্পত্তি । সেইসঙ্গে অনুব্রতর অস্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে।