কলকাতা, ২ জুন – ইডির সমস্ত কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রক হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শুক্রবার এমনই অভিযোগ করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। তিনি যে সত্য বলছেন তা প্রমান করার জন্য বিরোধী দলনেতার ফোন পরীক্ষা করারও দাবি তুলেছেন কুন্তল। তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলের অভিযোগ, ‘বিজেপির ক্যাডার’ -এর ভূমিকা পালন করছে ইডি। শুক্রবার সকালেই আদালতে যাওয়ার আগে কুন্তল বলেন, “ইডি মিথ্যা কথা বলছে। তদন্তকে ভুল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।”
শুক্রবার কুন্তলঅভিযোগ করেন , “ইডি বিজেপির ক্যাডার হয়ে কাজ করছে।” ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তাঁরা পাবলিক সার্ভেন্ট। তাঁদের বস্ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী নন।” শুভেন্দুর ফোন পরীক্ষা করার দাবি তুলে তিনি বলেন, “৩০ মে তিনি কত বার ইডি অফিসারদের ফোন করেছেন, তা তাঁর ফোন চেক করে দেখা হোক।” যদিও কুন্তল যখন জেলে বন্দি তখন তিনি এই ফোন করার বিষয়টি কী ভাবে জানতে পারলেন, সেই প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি কুন্তল।
আদালতে ইডি দাবি করে , গত ১ এবং ২ ফেব্রুয়ারি কুন্তলের যে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়, সেখানে কুন্তল জানান, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনি ভাবে টেট পাশ করিয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করাতে চেয়েছিলেন কুন্তল। সুজয় তখন কুন্তলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছিলেন, পার্থের সঙ্গে কথা বললেই কাজ হয়ে যাবে। এই সময়ে কুন্তল ৭০ লক্ষ টাকা দেন সুজয়কে। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন , দাবি ইডির। শুক্রবার কুন্তল দাবি করেন, তাঁর মিথ্যা বয়ান আদালতে পেশ করছে ইডি। ‘কালীঘাটের কাকু’কে তিনি কোনও টাকা দিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে কুন্তলের সংক্ষিপ্ত জবাব ‘না’। এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে।” শুক্রবার আদালত থেকে বেরোনোর সময় কুন্তল বলেন, “যদি তদন্ত সঠিক ভাবে এগোয়, তবে শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালা রাখাল বেড়াকে গ্রেফতার করা হোক। রাখাল বেড়া কে, এই প্রশ্নের উত্তরে কুন্তল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে টাকা তুলত।” গোপাল দলপতি কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না, সেই প্রশ্নও তোলেন কুন্তল।
কুন্তলের অভিযোগ প্রসঙ্গে নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “ক্রিমিনালদের কথার কোনও জবাব হয় না । তৃণমূলের ছায়ায় বেড়ে ওঠা চোর, ধাপ্পাবাজ, ক্রিমিনাল কুন্তল ঘোষ নিজে বাঁচতে এবং দলকে বাঁচাতে নানা জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।”