মুম্বই, ৩ জুলাই-– ফেমা আইনের আওতায় অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। বিশিষ্ট শিল্পপতি অনিল আম্বানি সোমবার সকালেই ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন। তবে এই প্রথমবার নয়, ২০২০ সালেও একবার অনিল আম্বানিকে তলব করেছিল ইডি। ইয়েস ব্যাংকের ঋণ মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। পরে সেই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর।
সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে হাজিরা দেন অনিল আম্বানি। দীর্ঘক্ষণ জেরার পরে তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ফেমার আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠলেই এই আইন প্রয়োগ করা হয়। সূত্রের খবর, আম্বানির সংস্থায় বিনিয়োগের সময়ে ফেমার ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ।
তবে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, কোন ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে-সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি। ইডি বা আম্বানি- কোনও তরফেই তলব নিয়ে মুখ খোলা হয়নি। প্রসঙ্গত, আয়ের হিসাব নিয়ে কয়েকদিন আগেই বিপাকে পড়েছিলেন বিখ্যাত শিল্পপতি। ৪২০ কোটি টাকার বিনিয়োগে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তবে বম্বে হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন অনিল আম্বানি।
অন্যদিকে, এর আগে ২০২০ সালেও ইডির জেরার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ইয়েস ব্যাংকের তহবিল তছরুপ মামলায় জড়িয়েছিল অনিল আম্বানির নাম। জেরা করা হলেও অবশ্য শাস্তি পেতে হয়নি বিশিষ্ট শিল্পপতিকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ইয়েস ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাকে।