ইতিপূর্বে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ইমেল করে তৃণমূল বিধায়কের সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু পরপর দু’বার তিনি ইমেলের জবাব দেননি বলে সূত্রের খবর। অবশেষে তৃতীয়বার ইমেল করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে সময় দিয়েছেন তিনি। যদিও আইনমন্ত্রীকে ইডির তলব ঘিরে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। উল্লেখ্য, সোমবারই একই মামলায় অভিষেকপত্নী রুজিরাকেও তলব করেছে ইডি।
এর আগে কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে শুধু একাধিক সমনই পাঠায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সঙ্গে তাঁর বাড়ি, অফিসে তল্লাশিও চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেইসময় বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছিল তাঁরা। কিন্তু ইডির অভিযোগ, বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। এমনকী, রক্ষাকবচের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে রক্ষাকবচ পেলেও পরে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। তবে আদালতের নির্দেশ ছিল, মলয়কে তলব করতে হলে, তাঁর সব কর্মসূচির কথা বিচার-বিবেচনা করে অন্তত ১৫ দিন আগে সমন পাঠাতে হবে। আর সমন পেলে মলয়কেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে ইডি ইমেল করে দু’বার সময় চেয়েছিল। কিন্তু জবাব দেননি মন্ত্রী। অবশেষে তৃতীয় ইমেলের জবাব দেন। সেই অনুযায়ী ১৯ জুন ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দেবেন মলয় ঘটক।
তবে এই তলব নিয়ে ইতিমধ্যে বাংলার রাজনীতি উত্তাল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই সমনকে বিজেপির রাজনীতি হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির সাফল্যে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই তাঁদের হাতে থাকা তদন্তকারী সংস্থাকে ব্য়বহার করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তাঁর আত্মীয় ও তৃণমূল নেতৃত্বকে বিরক্ত করা হচ্ছে।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্য় বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, “অভিষেকের কর্মসূচি তো এখনও চলছে। তার আগেই তো একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছে। মলয় ঘটক যদি কোনও অন্যায় না করেন, তাহলে হাজিরা দিতে সমস্যা কোথায়?”