কলকাতা:- কমবেশি আমরা সবাই ফল খাই। তার মধ্যে আনারস অন্যতম জনপ্রিয় সুস্বাদু ফল। এটি অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা তাপ ও গরম মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে। গ্রীষ্মের ডায়েটে এই পুষ্টিকর ফলটি অন্তর্ভুক্ত করা আপনাকে আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করতে পারে। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
১)ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক-
তাপ এবং আর্দ্রতা আপনার রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। আনারসে রয়েছে পটাসিয়াম, যা আপনার রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
২)হজমশক্তি বাড়ায়-
আনারস আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩)ওজন কমায়-
ওজন কমাতে আনারস বেশ সহায়ক। আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং ফ্যাট অনেক কম থাকে। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খেতে পারেন।
৪)এনার্জি লেভেল বাড়ায়-
আনারসে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার, যা আপনাকে সারাদিন সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৫)চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়-
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
৬)হাড়ের সুস্থতায়:
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ সয়াহক এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে মজবুত করে তোলে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৭)স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে উপকারী-
গ্রীষ্মকালে অত্যধিক সূর্যের এক্সপোজার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং অকাল বার্ধক্য হতে পারে। আনারসে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে । ফ্রি র্যাডিকেল সূর্যের সংস্পর্শে এলে ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে লালভাব এবং বলিরেখা দেখা দেয়।
৮)দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়-
আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।