কলকাতা:- খেজুর সুস্বাদু একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক। খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। তাই নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে পারেন। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর। অন্তত দুটি খেজুর যদি প্রতিদিন খান তবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের সবই রয়েছে খেজুরে।
১)খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
২)ওজন বাড়াতে খেজুর অত্যন্ত কার্যকরী। যাদের শারীরিক ওজন কম বা এক কথায় বলতে গেলে যারা আন্ডার ওয়েট তারা দৈনিক ৪-৫টি করে খেজুর খেলে দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি হবে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ও ওজন বৃদ্ধিকারী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রোটিন রয়েছে, যা ওজন বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৩)ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন।
৪)প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
৫)যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন সেইসব রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
৬)যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।
৭)কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে জলে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো জল পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।
৮)খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।
৯)দৈনিক দুধে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেলে তা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়ক এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। খেজুর আমাদের ত্বকে ছাপ পড়া রোধ করে ফলে ত্বক অনেক গুনে সতেজ দেখায়। এটি ত্বকের কোমলতা বাড়িয়ে তোলে।