• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মায়ের কানের খোলেই লুকিয়ে দুধের গুনের রহস্য  

কলকাতা , ২৯ জানুয়ারি– মায়ের বুকের দুধ নিয়ে এক আশ্চর্য গবেষণা করেছেন কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক। সেই গবেষণায় সাফল্যও পেয়েছেন তারা।  গর্ভবতী মায়ের কানের খোলই নাকি তাঁর বুকের দুধের সমস্ত রহস্য জানতে যথেষ্ট। মায়ের দুধ বাচ্চার জন্য কতটা উপকারি, অথবা প্রসবের পরে তাঁর বুকের দুধ কতটা তৈরি হবে তা জানতে গর্ভবতির কানের খোল পরীক্ষা করলেই

কলকাতা , ২৯ জানুয়ারি–
মায়ের বুকের দুধ নিয়ে এক আশ্চর্য গবেষণা করেছেন কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক। সেই গবেষণায় সাফল্যও পেয়েছেন তারা।  গর্ভবতী মায়ের কানের খোলই নাকি তাঁর বুকের দুধের সমস্ত রহস্য জানতে যথেষ্ট। মায়ের দুধ বাচ্চার জন্য কতটা উপকারি, অথবা প্রসবের পরে তাঁর বুকের দুধ কতটা তৈরি হবে তা জানতে গর্ভবতির কানের খোল পরীক্ষা করলেই হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক অরূপরতন বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীপ্তেন্দু চট্টোপাধ্যায়।

গবেষকরা বলছেন, বিয়ের আগে অথবা গর্ভবস্থায় কানের খোল পরীক্ষা করালে বোঝা যাবে সেই গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধে কতটা পুষ্টিগুণ থাকবে, বাচ্চার জন্য তা কতটা উপকারি হবে।

কানের ভিতরে যে হলদেটে-খয়েরি রঙের বস্তুটা থাকে তার নিজস্ব গুণাগুণ আছে। কানের ময়লা যার পোশাকি নাম ইয়ারওয়াক্স বা চলতি কথায় কানের খোল। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই কানের ময়লা কিন্তু আসলে কানকে সুরক্ষা দেয়। এটি আসলে কানের বাইরে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থির ক্ষরণ যাকে বলে সেরুমেন । এর মধ্যে থাকে কেরাটিন (৬০%), স্যাচুরেটেড এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (১২-২০%) এবং কোলেস্টেরল (৬-৯%)। এই ক্ষরণ হলদেটে হয়, এরই সঙ্গে বাইরে ধুলো-ময়লা ইত্যাদি মিশে একটা বিদঘুটে রঙ ও আকার নেয়।