বেজিং, ১৯ ডিসেম্বর– জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন৷ তারপরও অনুভূত হয় বেশ কয়েকটি আফটার শক৷ সোমবার মধ্যরাতে চিনের উত্তর-পশ্চিমে গাংসু প্রদেশে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেডে় দাঁডি়য়েছে শতাধিক৷ গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১০০ জন৷ গাংসুর পার্শ্ববর্তী কুইনঘাই প্রদেশেও এই ভূমিকম্পের যথেষ্ট প্রভাব পডে়ছে৷ সেখানে অন্তত ৯ জনের মৃতু্য হয়েছে এবং গুরুতর জখম হয়েছেন ১২৪ জন৷ বহু ঘর-বাডি় ভেঙে পডে়ছে৷ মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ৷
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট নাগাদ জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চিনের গাংসু প্রদেশ৷ পার্শ্ববর্তী কুইংঘাই প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়৷ রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৯৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল গাংসু প্রদেশে ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে৷ যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.২৷
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গাংসু প্রদেশের রাজধানী লানঝাউয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুডে় তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং তারপর বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয়৷ এই ভূমিকম্পে গাংসু-সহ কুইনঘাই প্রদেশের বহু ঘর-বাডি় ভেঙে পডে়৷ ঘর-বাডি় চাপা পডে় ঘুমের মধ্যেই বহু মানুষের মৃতু্য হয়েছে৷ সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, কেবল কুইংঘাই প্রদেশের হাইদোং শহরে ১১ জনের মৃতু্য হয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছেন৷ অনেক গ্রামে বিদু্যৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, চিনে ভূমিকম্পের ঘটনা নতুন ব্যাপার নয়৷ গত আগস্টেও পূর্ব চিনে জোরাল ভূমিকম্প হয়৷ রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৪৷ ওই ভূমিকম্পে অন্তত ২৩ জনের মৃতু্য হয়৷ তার আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং শতাধিক মানুষের মৃতু্য হয়৷ তবে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটেছিল ২০০৮ সালে৷ সেবার ৭.৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে ৮৭ হাজার মানুষের মৃতু্য হয় এবং ৫ হাজারের বেশি স্কুল পড়ুয়া নিখোঁজ হয়ে যায়৷