ওয়াশিংটন, ২০ ডিসেম্বর – আমেরিকার নির্বাচনের আগে বড় সড় ধাক্কা খেলেন ডোনান্ড ট্রাম্প। আমেরিকার একটি আদালত রায় দিয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনে লড়ার যোগ্য নন। ফলে আগামী বছর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে বড় বাধার সামনে পড়লেন তিনি।কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য। অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প । স্বাভাবিক ভাবেই এই রায়ে বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি।তিনি এসব কিছুর জন্য দায়ী করছেন বাইডেনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘গণতন্ত্রের জন্য বিপদ’ বলেও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটালে ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলা চালায়। সেখানে ট্রাম্পের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্ট। আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যাঁকে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হল। আদালতের এই নির্দেশ শুধু আগামী ৫ মার্চ কলোরাডোর প্রাথমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিন্তু অনেকেই মনে করছেন এর প্রভাব ৫ নভেম্বর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও পড়বে। সেই নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে বড় বাধার সামনে পড়তে হবে।
আমেরিকার সংবিধানের যে ধারা অনুযায়ী ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত, সেই ধারা এখনও পর্যন্ত খুব কম প্রয়োগ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের মুখপাত্র আদালতের এই রায়কে ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও তাঁরা ভাবছেন বলে জানানো হয়েছে। ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা খুব শীঘ্রই এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। এই গণতান্ত্রিক নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করব।’’ ৪ জানুয়ারির মধ্যে ট্রাম্পকে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে।
আদালতের রায়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে ট্রাম্পকে বলেন, ”এতে আর আশ্চর্যের কী যে কুচক্রী বাইডেন যে কোনও ভাবে আমাদের থামাতে চাইবেন। নির্বাচনে জিততে ওঁরা যেভাবে মার্কিন সংবিধানের অপব্যবহার করলেন তেমনটা আগে দেখা যায়নি। জো বাইডেন গণতন্ত্রের জন্য বিপদ। একটা উচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হল। কেননা আমরা ওদের খুব খারাপ ভাবে পিছনে ফেলে দিয়েছিলাম।”