বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত যে, কুকুরা স্রেফ শুঁকে ধরে দিতে পারে অনেক জটিল রোগ। এমনকি ক্যানসারের মতো মারণ রোগও চিহ্নিত করতে পারে কুকুররা। ফুসফুসের ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, ব্লাডার ক্যানসার এমনকি প্রস্টেট ক্যানসারও আলাদা করে ধরতে পারে। ক্যানসার শুধু নয়, ম্যালেরিয়া, পারকিনসন্স রোগও সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে কুকুর। এমনকি রোগীর শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ থাকলে নমুনা শুঁকে ধরে দিতে পারে তারা। ২০১৩ সালে একটি গবেষণাপত্র সামনে এসেছিল, যেখানে গবেষকরা বলেছিলেন মাইগ্রেনের ব্যথা ৫৪ শতাংশ সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে কুকুর।
তবে কুকুরদের এই ঘ্রাণশক্তি কতটা প্রবল এবং তাকে কী কী কাজে লাগানো যেতে পারে, সে নিয়ে বহু বছর ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা বলছেন, ডজনখানেক রোগ ধরার ক্ষমতা আছে কুকুকের। করোনা সংক্রমণও চিনতে পারে। তবে তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয় কুকুরদের।
কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কতটা শক্তিশালী তার কয়েকটা পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গেছে, কয়েক লক্ষ কোটি গন্ধের মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট কোনও গন্ধ আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারে কুকুররা। প্রতি মিনিটে তারা শ্বাস নেয় ৩০০ বার, এর মানে হল কুকুরদের অলফ্যাক্টরি কোষ ক্রমাগত নতুন নতুন গন্ধের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে এবং সেইসব গন্ধ মনেও রাখতে পারে।
২০০৬ সালের একটি পরীক্ষায় পাঁচটি ভিন্ন প্রজাতির কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেখা গিয়েছিল, রোগীর রক্ত ও প্রস্রাবের নমুনা শুঁকে ক্যানসার চিহ্নিত করে পেরেছে তারা। তাও আবার ৮০-৯০ শতাংশ সঠিকভাবে।