দিল্লি, ১১ আগস্ট– চিকিৎসা করতে গিয়ে সরকারি বা বেসরকারী হাসপাতালে ডাক্তার-নিগ্রহের ঘটনা অহরহ ঘটছে । চিকিৎসা করার সময় রোগীর মৃত্যু হলে সম্পূর্ণ দায় ডাক্তারের ঘাড়ে চাপিয়ে শুধু ডাক্তারদের গালিগালাজ-মারধরই নয় হাসপাতাল ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনা লেগেই আছে। লাঞ্ছনা সইতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। মরণাপন্ন রোগীকে বাঁচাতে গিয়ে ডাক্তারের মারধর খাওয়ার উদাহরণও অজস্র। নিত্যদিনের এই চিত্র এবার পাল্টাতে চলেছে দেশে। চিকিৎসকদের উপর নিগ্রহ, অত্যাচার বন্ধ করতে এবার নতুন আইন আনছে দেশের মেডিক্যাল কাউন্সিল বা এমসিআই। চিকিৎসার সময় রোগী ও তাঁর পরিবারের আচরণ যদি ঠিক না হয়, পরিজন যদি চিকিৎসকের সঙ্গে অভব্যতা করে, তাহলে সেই রোগীকে প্রত্যাখ্যান করার অধিকার ডাক্তারের থাকবে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন থেকে উদ্যোগ নিয়ে এই আইন আনা হবে খুব তাড়াতাড়ি। চিকিৎসকদের সংগঠন জানাচ্ছে, ২০০২ সালের মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়মে কিছু বদল আনা হবে। রোগী ও তাঁর পরিবার যদি অভব্য আচরণ করেন, তাহলে সেই রোগীর চিকিৎসা করবেন কিনা সেটা ঠিক করার অধিকার ডাক্তারের থাকবে। অর্থাৎ সোজা কথায়, রোগীর চিকিৎসা করবেন কিনা তা ঠিক করার অধিকার চিকিৎসকের থাকবে।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, ওয়ার্ডের ভিতর রোগীর পরিজনদের একাংশ চিকিৎসকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ তো বটেই মাঝেমধ্যেই মারমুখী হয়ে ওঠেন। তখন রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে তাঁরা মুশকিলে পড়েন। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, “মূল বিষয়টা হল স্বাস্থ্য এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার। সেটা এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির জন্য বারে বারে ঘা খাচ্ছে। ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়া দরকার। চিকিৎসা পরিকাঠামোয় পরিবর্তন প্রয়োজন। “