• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

ধূলিসাতের পথে বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার অস্থায়ী মর্গের চেহারা নেওয়া বাহানগা স্কুল

কটক, ৯ জুন– শতাব্দীর সব থেকে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় ওড়িশার বালেশ্বর। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর মৃতদেহগুলিকে দ্রুত সরাতে ব্যবহার করা হয় বাহানগা বাজার হাই স্কুলকে। স্থানীয় স্কুলটিকেই অস্থায়ী মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাদা কাপড়ে মোড়া সারি সারি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল সেই স্কুলে। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে দেহগুলিতে পচন

কটক, ৯ জুন– শতাব্দীর সব থেকে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় ওড়িশার বালেশ্বর। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর মৃতদেহগুলিকে দ্রুত সরাতে ব্যবহার করা হয় বাহানগা বাজার হাই স্কুলকে। স্থানীয় স্কুলটিকেই অস্থায়ী মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাদা কাপড়ে মোড়া সারি সারি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল সেই স্কুলে। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করে। পরে ভুবনেশ্বরের চারটি হাসপাতালে সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু তারপরই শুরু হয় যত সমস্যা। অভিভাবকদের অনেকেই জানিয়েছিলেন, স্কুলটিকে যখন মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তখন তাঁরা যে সব দৃশ্য দেখেছেন, তার পর ছেলেমেয়েদের সেখানে পড়তে পাঠাতে তাঁদের আর মন চাইছে না। নানা রকম অলৌকিক গল্পও ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। তার পরই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চলা এই স্কুলে বর্তমানে ৫৬৫ জন পড়ুয়া রয়েছে।

কিন্তু অভিভাবক বা শিক্ষার্থী কেউই স্কুলে আসতে না চাওয়ায় সেই স্কুলকেই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুল ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিভাবকদের প্রস্তাব মেনে পাশেই নতুন করে স্কুল ভবন তৈরি করা হবে। শুক্রবার সকালে স্কুল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ধাপে ধাপে ভবনের ছাউনি খুলে ফেলা হচ্ছে।