• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১৪টি মামলা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানাল  ‘নেতাদের জন্য আলাদা নিয়ম সম্ভব নয়’

দিল্লি, ৫ এপ্রিল– সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ১৪টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। যৌথ আবেদনে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা চেয়েছিল তারা। সেই মামলাগুলি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট । প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, রাজনীতিবিদদের

দিল্লি, ৫ এপ্রিল– সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ১৪টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। যৌথ আবেদনে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা চেয়েছিল তারা। সেই মামলাগুলি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট । প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, রাজনীতিবিদদের জন্য আলাদা করে আইন প্রণয়ণ সম্ভব নয়। যদি নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে, সেটা আলাদা করে গ্রহণ করা যেতে পারে।

 ১৪ বিরোধী দলকে এ বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে কংগ্রেস । এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, বিআরএস-সহ বিজেপি বিরোধী প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দল।

বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি ছিল। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য বিচারপতি ছিলেন পি এস নরসিমাএবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা। গত ২৪ মার্চ আবেদনের দ্রুত শুনানির অনুরোধ করে সিনিয়র আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, তাঁদের শতকরা ৯৫ জনই বিরোধী দলের। এটা স্পষ্টত বিরোধীদের কণ্ঠরোধ। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, তারা কোনও তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চান না। কিন্তু যেভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, সেটা নিয়েও আদালতের কিছু করা উচিত। অন্তত নেতাদের গ্রেপ্তারি নিয়ে নতুন গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণ করল না শীর্ষ আদালত।

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, রাজনীতিবিদদের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। তবে নির্দিষ্ট কোনও মামলা বা ক্ষেত্রে অভিযোগ থাকলে, সেটা আদালতের বিচারাধীন হতে পারে। শীর্ষ আদালত মামলা গ্রহণ করতে না চাওয়ায় সম্মিলিত বিরোধী শিবির নিজেদের আরজি প্রত্যাহার করেছেন।