• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফের মতানৈক্য, শান্তনু-সুকান্তর বিপরীত সুর দিলীপের কথায়

  কলকাতা, ১৭ জুলাই – ফের বিজেপির দুই শিবিরে ভিন্নমতের প্রকাশ ঘটল। শাসকদলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে ফের প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতাদের মতানৈক্য। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া গোষ্ঠীর নেতা শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যকে সমর্থন করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেই মন্তব্যের সঙ্গে এক মত হলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।সুকান্ত মজুমদার বলছেন, বাংলায় সরকারের মেয়াদ আর হাতে গোনা ৫

  কলকাতা, ১৭ জুলাই – ফের বিজেপির দুই শিবিরে ভিন্নমতের প্রকাশ ঘটল। শাসকদলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে ফের প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতাদের মতানৈক্য। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া গোষ্ঠীর নেতা শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যকে সমর্থন করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেই মন্তব্যের সঙ্গে এক মত হলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।সুকান্ত মজুমদার বলছেন, বাংলায় সরকারের মেয়াদ আর হাতে গোনা ৫ মাস। অন্যদিকে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন, সরকার তৈরি হয় মানুষের জনমতেই। তাকে ভেঙে দেওয়া গণতন্ত্রবিরোধী।
পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পরও রাজ্য জুড়ে অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। তার মাঝেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি আচমকা মন্তব্য করেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, পাঁচ মাসের মধ্যে এই রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে।’ শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্য নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, তখন তা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। বিধায়কদের তো মনে হতেই পারে।’ তিনি বলেন, ৫মাস, ৬ মাস যখন খুশি দরকার পড়ে যেতে পারে। মহারাষ্ট্রের এনসিপির ভাঙনের কথাও বলেন তিনি। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ভিন্ন মত দিলীপ ঘোষের গলায়। বাংলায় ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বাকিদের থেকে ভিন্ন। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করার কথা ভাবছে কি না, আমার ঠিক জানা নেই। পশ্চিমবঙ্গে আগে কখনও তা হয়েছে কি না, জানি না।’ তিনি স্পষ্টই বলেন, মানুষের জনমতে তৈরি হওয়া কোনও সরকার ভেঙে দেওয়াকে তিনি গণতন্ত্রবিরোধী বলে মনে করেন। দিলীপের এই মন্তব্যের ফলে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে এল।
সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রাজ্যের নানা প্রান্তে সন্ত্রাসের যে ছবি উঠে এসেছে, তার প্রেক্ষিতেই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি তুলেছে বিজেপি। বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হবে কি না, তা নিয়ে  দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কিন্তু বুঝিয়ে দিলেন দলীয় নেতাদের পথে না হেঁটে তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেন। 

রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ আবার বলেন, ‘‘এখন পশ্চিমবঙ্গে যা পরিস্থিতি, তাতে আমরা বলছি ৩৫৫ দরকার। কিন্তু যাঁরা মার খাচ্ছেন, আমি সেই রাজ্যবাসীদের প্রশ্ন করতে চাই, এই সরকারকে ভোট দিয়ে কে জিতিয়েছে?’’দিলীপের মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান, দিলীপ যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই.