লন্ডন, ২ সেপ্টেম্বর-– তিনি চলে গেছেন প্রায় ২৬ বছর আগে। কিন্তু তবুও তাঁকে তিনি জনমানসে কৌতূহলের শেষ নেই। তিনি প্রিন্সেস ডায়না। আর সেই ডায়নার রেকর্ড অডিও যদি পাওয়া যায় কে না তা শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকে একাধিক অডিও রেকর্ড করেছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। ১৯৯৭ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আগে সেগুলো গোপনে লেখক অ্যান্ড্রু মর্টনের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর ‘ডায়ানা: হার ট্রু স্টোরি—ইন হার ওন ওয়ার্ড’ নামে বই লেখেন মর্টন। গত ৩১ আগস্ট ডায়ানার মৃত্যুর ২৬ বছর পূর্ণ হয়েছে।
দ্বিতীয় সন্তান প্রিন্স হ্যারির জন্মে হতাশ হয়েছিলেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। এ হতাশার কারণ ছিল, প্রিন্সেস ডায়ানা ও তাঁর সংসারে কেন একটি মেয়ে এল না, তা নিয়ে। প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার নতুন এক অডিওতে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রিন্সের এই হতাশার কথা উঠে এসেছে।
আগামী বছর ‘ডায়ানা: দ্য রেস্ট অব হার স্টোরি’ নামে একটি তথ্যচিত্র মুক্তি পাওয়ার কথা। সেখানে থাকা কিছু অডিও প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষের শোনার সুযোগ হয়েছে। সেসব অডিওর একটিতে প্রিন্স হ্যারির জন্মে তৎকালীন প্রিন্স চার্লসের হতাশার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
এবিসি টেলিভিশনের সকালের অনুষ্ঠান ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’র দর্শকেরা অডিও টেপগুলো শোনার সুযোগ পেয়েছেন। যেখানে ডায়ানাকে বলতে শোনা যায়, তাঁর স্বামী প্রিন্স চার্লস এমনকি তাঁর সৎমা রেইন স্পেনসারের সঙ্গে কথা বলেননি। প্রিন্স চার্লস মামির কাছে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি জানেন আমরা কতটা হতাশ হয়েছি, আমরা ভেবেছিলাম এবার একটি মেয়ে হবে।’ প্রিন্সেস ডায়ানা বলেন, ‘মামি তাঁর (প্রিন্স চার্লস) মাথায় একটা টোকা দিয়ে বলেন, “তোমার নিজেকে ভাগ্যবান ভাবা উচিত যে তোমার একটা সুস্থ সন্তান হয়েছে।”’
প্রিন্সেস ডায়ানার রেকর্ড করা মোট সাত ঘণ্টার টেপ আছে উল্লেখ করেন অ্যান্ড্রু মর্টন। তিনি আরও অডিও প্রকাশ করবেন কি না, এমন প্রশ্নে মর্টন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী আগ্রহ রয়েছে, তবে এর প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা–ও আমাদের দেখতে হবে।’
প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানা দম্পতির প্রথম সন্তান প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম ১৯৮২ সালে। পরে ১৯৮৪ সালে জন্ম হয় প্রিন্স হ্যারির।
সদ্য প্রকাশিত রেকর্ডিংগুলোয় ডায়ানা তাঁর সৎমায়ের সঙ্গে তাঁর অস্থির সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রিন্সেস ডায়ানার জীবনীলেখক অ্যান্ড্রু মর্টন গতকাল শুক্রবার এবিসির গুড মর্নিং আমেরিকা অনুষ্ঠানে বলেন, তাঁর (প্রিন্সেস ডায়ানা) কণ্ঠস্বর শোনার মধ্যে একটি সত্যিকারের ‘মর্মস্পর্শী ব্যাপার’ রয়েছে। মর্টন বলেন, ‘তিনি (প্রিন্সেস ডায়ানা) কখনো এক সেকেন্ডের জন্যও ভাবেননি যে ক্যামিলা রানি হবেন, তাই ইতিহাস উন্মোচনের বিষয়ে আমাদের খুব আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।’