ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু…’ জোড়হাতে লিখলেন ধর্মেন্দ্র 

মুম্বই :  সম্প্রতি গাঁটছড়া বেঁধেছেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর নাতি কর্ণ দেওল। গত ১৮ জুন চিত্রপরিচালক বিমল রায়ের নাতনি দৃশা আচার্যের সঙ্গে সাতপাক ঘোরেন কর্ণ। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে চারহাত এক হয় দীর্ঘ দিনের প্রেমিক-প্রেমিকার। কর্ণ-দৃশার বিয়ের পরে রিসেপশন পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তাবড় তারকারা। ছিলেন তিন ভাই সানি দেওল, ববি দেওল ও অভয় দেওল। যদিও বিয়ের কোনও অনুষ্ঠানেই দেখা যায়নি ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী এবং দুই কন্যা এষা ও অহনাকে। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। নাতির বিয়ের ১০ দিনের মাথায় সেই প্রসঙ্গেই আবেগপ্রবণ ধর্মেন্দ্র। হাতজো়ড় করে স্ত্রী হেমা ও দুই মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন বর্ষীয়ান তারকা।

সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় মেয়ে এষার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন ধর্মেন্দ্র। ছবির বিবরণীতে লেখেন, ‘‘এষা, অহনা, হেমা এবং আমার প্রিয় সন্তানেরা… তখতানি ও বোহরা— তোমাদের সবাইকে আমি খুব ভালবাসি ও শ্রদ্ধা করি। বার্ধক্য আর অসুস্থতার কাবু করে দিয়েছে আমাকে। আমি তোমাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু…।’’ শেষে হাতজোড় করার একটি ইমোজিও জুড়ে দেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর পোস্ট পড়ে অনুরাগীদের ধারণা, কর্ণের বিয়েতে ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় পক্ষের পরিবারের অনুপস্থিতির বিষয়েই ক্ষমা চেয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।

বাবার আবেগপ্রবণ পোস্টের উত্তর দিয়েছেন এষাও। তিনিও সমাজমাধ্যমের পাতায় তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবির বিবরণীতে এষা লেখেন, ‘‘তোমাকে ভীষণ ভালবাসি বাবা। তুমি সবথেকে ভাল। সব সময় তুমি সুস্থ থাকো, এটাই আশা করি।’’


১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ধর্মেন্দ্র। একসঙ্গে মানুষ করেছেন দুই সন্তান সানি ও ববিকে। ২৬ বছরের দাম্পত্যজীবনের পরে ১৯৮০ সালে হেমার সঙ্গে সংসার পাতেন ধর্মেন্দ্র। তবে তখনও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি বর্ষীয়ান তারকা। হেমার সঙ্গে সংসার শুরু করার পরে কখনও দুই পরিবারের মধ্যে সখ্য তৈরি হয়নি। একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন দুই পরিবারের সন্তানেরাও। সানি, ববি, এষা ও অহনা আদপে ভাই-বোন হলেও তাঁদেরও কখনও একসঙ্গে দেখা যায়নি। সম্প্রতি কর্ণের বিয়েতেও উপস্থিত ছিলেন না হেমা, এষা ও অহনা। যদিও পরে সমাজমাধ্যমের পাতায় কর্ণকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানান এষা।