দিল্লি, ৮ আগস্ট – রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েও সাসপেন্ড হলেন না ডেরেক ও’ব্রায়েন। মঙ্গলবার প্রথমার্ধে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় সংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য ডেরেককে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। এরপর বেলা গড়াতেই প্রকাশ্যে আসে সাসপেন্ড হননি তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিকে তৃণমূলের আর এক সাংসদ তথা মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইটে লেখেন, ডেরেককে এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি। রাজ্যসভা সূত্রে খবর , ডেরেকের সাসপেন্ডের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। ফলে আদৌ তিনি সাসপেন্ড হয়েছেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে।গোটা বাদল অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। আগামী ১১ অগাস্ট পর্যন্ত সংসদের বাদল অধিবেশন চলার কথা। অধিবেশনের বাকি দিনগুলি ডেরেক রাজ্যসভায় অংশ নিতে পারবেননা এমনটাই জানা যায়। তবে এর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আবার জানা যায় সভায় অনুমোদন না মেলায় ডেরেকের সাসপেনশন কার্যকর হয়নি।
এদিন সকাল থেকেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা ও রাজ্যসভা -দুই কক্ষই। মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য বার বার দাবি করেন ডেরেক। জগদীপ ধনকড়কে তিনি বলেন, ‘আপনি আলোচনার অনুমতি দিন। ‘ এরপরই তুমুল হৈ -হট্টগোল শুরু হয়ে যায় রাজ্যসভায়। উভয় পক্ষের চেঁচামেচির মধ্যে ডেরেককে তাঁর আসনে বসতে বলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনি শোনেননি। তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “নাটক করা আপনাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে।” সোমবারও দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনার সময় ডেরেকের বিরুদ্ধে ধনখড় অভিযোগ তুলে জানান, জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যই তিনি এই ধরনের ‘নাটক’ করছেন। অধিবেশনের প্রথমার্ধে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সতর্ক করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। হৈ হট্টগোলের মধ্যে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দুই কক্ষই মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যেই বিজেপি সাংসদ পীযূষ গয়াল ডেরেকের বিরুদ্ধে ‘ অধিবেশন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া, চেয়ারম্যানকে অসম্মান এবং বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেন। তার পরই চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় ‘উচ্ছৃঙ্খল’ ব্যবহার এবং ‘অসংসদীয় আচরণের’-এর কারণ দেখিয়ে ডেরেককে সাসপেন্ড করেন।
পরে অধিবেশন শুরু হতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে রাজ্যসভায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রাজ্যসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয়নি। চেয়ারম্যান ধনকড় জানান, ‘সুদূরপ্রসারী’ চিন্তাভাবনা করে তিনি ডেরেক-কে সাসপেন্ড করার ব্যাপারে আর এগোননি। তাই ভোটাভুটিও হয়নি। ফলে বাদল অধিবেশনের আগামী অধিবেশনগুলিতে রাজ্যসভায় অংশ নিতে পারবেন এই তৃণমূল সাংসদ।