কলকাতা, ৫ অগাস্ট – ডেঙ্গিতে ফের এক জনের মৃত্যু হল এ রাজ্যে। জুলাই মাস এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দশে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেমেছে রাজ্য। গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ছিল রানাঘাটের বাসিন্দা রতন কর্মকারের । অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি ডেঙ্গি পজ়িটিভ। শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সমস্ত দফতরকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে, এমন এলাকায় এক লক্ষ মশারি বিলি করা হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে খাল সংস্কারের কাজ চলছে। অন্য দিকে, ১২৯টি পুরসভায় দু’সপ্তাহ অন্তর শহর পরিষ্কার রাখার অভিযান চলছে। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ওই কর্মসূচি চালাতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ৬২৪টি র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক্যাল কর্মী-সহ ১ লক্ষ ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে যুক্ত করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে আশাকর্মী ও পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন এক লক্ষের বেশি। সূত্রের খবর, বাড়ি বা জমিতে জল জমা নিয়ে উদাসীন থাকার অভিযোগে রাজ্যের প্রায় ১৩ হাজার ৫৯৫ জন বাসিন্দাকে নোটিস পাঠিয়েছে বিভিন্ন পুরসভা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় ১৫ সদস্যের বিশেষ দল তৈরী করা হবে। বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুর স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের করা জ্বরের সমীক্ষার উপরে। ওই কর্মীরা কোনও বাড়িতে কারও তিন দিনের বেশি জ্বর রয়েছে বলে খবর পেলেই আক্রান্ত বাসিন্দাদের ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে বলবে।